স্পোর্টস ডেস্ক: দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ হারলো ৮ উইকেটে। শেষ দিনে ১০ উইকেটে পাকিস্তানের দরকার ছিল ৯৩ রান। হাতে গোটা এক দিন। তারপরও শেষ ভরসা হিসেবে বোলাররা চেষ্টা করলেন প্রাণান্ত। কয়েকটি উইকেটও পতন হলো পাকিস্তানের। তাতে অবশ্য জয় আটকানো গেল না।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ করেছিল ৩৩০ রান। জবাবে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছিল ২৮৬ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসটা মোটেই ভালো হয়নি বাংলাদেশের। স্বাগতিকরা অল আউট হয় মাত্র ১৫৭ রানে। চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য পাকিস্তানের টার্গেট দাড়ায় ২০২ রান। সে লক্ষ্যে খেলতে নেমে দিন শেষে বিনা উইকেটে পাকিস্তান করেছিল ১০৯ রান।
আগের দিনে ফিফটি করা দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আবিদ আলী ও আব্দুল্লাহ শফিক মঙ্গলবার মাঠে নামেন ম্যাচের পঞ্চম দিনে। দিনের শুরুতে একটু সাবধানী ছিলেন দুই ওপেনার। এরপরই শট খেলতে শুরু করেন দুজন। রান আসতে থাকে সাবলিলভাবে।
শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙতে পারে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে যান আব্দুল্লাহ শফিক। অফ স্টাম্পের বল সুইপ করেছিলেন অভিষিক্ত এই ব্যাটসম্যান। ব্যাটে খেলতে পারেননি। আম্পায়ার আউট দিলে নেন রিভিউ। ইম্প্যাক্ট ও স্টাম্পে বলের স্পর্শ দুটিই ছিল আম্পায়ার্স কল। মাঠের আম্পায়ার আউট দেয়ায় ফিরে যেতে হয় তাকে। প্রথম ইনিংসে ১৪৬ রানে ভেঙেছিল শুরুর জুটি। এবার ভাঙল ১৫১ রানে। ১২৯ বলে আট চার ও এক ছক্কায় ৭৩ রান করেন শফিক।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। আগামী ৪ ডিসেম্বর মিরপুরে শুরু হবে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
সময় জার্নাল/এলআর