লাইফস্টাইল ডেস্ক : স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াতো অবশ্যই ভালো। তবে এটিও ইচ্ছা মতো অনেকটা খেয়ে ফেলা যাবে না। মনে রাখতে হবে, ওজন ঝরাতে চাইলে আপনাকে মেপে খাওয়াদাওয়া করতেই হবে। কারণ, অনেক স্বাস্থ্যকর খাবারের মাধ্যমেও অজান্তে প্রচুর ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করতে পারে। সব সময়ে যে ক্যালোরি গুনে গুনে খেতে হবে, তা নয়। কিন্তু কোন খাবারে বেশি ক্যালোরি লুকনো থাকে, তা জেনে রাখাই ভালো।
বাদাম এবং ড্রাই ফ্রুট : বাদামে প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি থাকে। ছোট বলে অনেকে অতিরিক্ত পরিমাণে খেয়েও ফেলেন। কিন্তু এতে শরীরে অনেকটাই ক্যালোরি যায়। তবে যেকোনো বাদামে অনেক পুষ্টিগুণও রয়েছে। তাই সারাদিনে এক মুঠো নানা রকম বাদাম আর ড্রাই ফ্রুট খাওয়াই যায়।
গ্র্যানোলা বার : বাজারে এখন নানা রকমে মোড়কে প্রোটিন বার বা গ্র্যানোলা বার পাওয়া যায়। টুকটাক খিদের মুখে স্বাস্থ্যকর খাবার হিসাবেই এগুলি বিক্রি করা হয়। কিন্তু এগুলিতে যে কত পরিমাণে বাড়তি চিনি থাকে, তা অনেক সময়েই পরিষ্কার করে বলা থাকে না। ফলে গ্রাহকও অজান্তে নিজের ক্ষতি করে ফেলেন।
স্মুদি বা ফলের রস : একটি আপেল বা কমলালেবু খেলে যতটা পেট ভরে, ততটা পেট ভরার জন্য যে পরিমাণ স্মুদি বা ফলের রস খেতে হয়, তার জন্য প্রয়োজন চারটি থেকে পাঁচটি আপেল বা কমলালেবু। ফলে শরীরে পুষ্টির পাশাপাশি ক্যালোরিও যাচ্ছে অনেকটাই। তাই ওজন কমানোর সময়ে রস না করে গোটা ফলই খেয়ে ফেলা ভালো।
গ্লুটেন ফ্রি খাবার : ময়দার মধ্যে গ্লুটেন থাকলে তাতে কিছু মানুষের হজমের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু গ্লুটেন আলাদা করে শরীরে কোনও পুষ্টি দেয় না। তাই অনেকে মনে করেন, কোনও খাবারে যদি গ্লুটেন না থাকে, তা হলেই তা বোধহয় খুব স্বাস্থ্যকর। আসলে কিন্তু তেমনটা নয়। অনেক গ্লুটেন ছাড়া তৈরি বেকারির খাবারেও থাকে প্রচুর পরিমাণে নুন এবং চিনি। তা শরীরের যথেষ্ট ক্ষতি করতে পারে।
বেক করা খাবার : ভাজা আলুর বদলে বেক করা আলু খান— এমন কথা ইদানীং নানা মহলে শোনা যায়। নানা রকম ভাজাভুজি এখন ছাঁকা তেলে না ভেজে বেক করে নেওয়ার চল হয়েছে। কিন্তু সেগুলিতেও বাড়তি নুন থাকতেই পারে। তাই বেক করা মানেই যে স্বাস্থ্যকর, তেমন ভেবে অনেকটা খেয়ে ফেলবেন না। - আনন্দবাজার
সময় জার্নাল/এসএ