নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসে আগুন ও ভাঙচুরের অভিযোগে হাতিরঝিল থানায় ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) এ কে এম নিয়াজউদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে এই থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন হাতিরঝিল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশীদ।
তিনি বলেন, সোমবার (২৯ নভেম্বর) রাত পৌনে ১১টার দিকে রামপুরা ডিআইটি সড়কে মোল্লা টাওয়ারের সামনে ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’ বেআইনিভাবে সমাবেশ ঘটিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সড়কে চলমান গাড়ি ভাঙচুর ও পেট্রোলবোমা দিয়ে গাড়িতে আগুন এবং পথচারীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধর করে। এ ঘটনায় আজ একটি মামলা হয়েছে ২৫০-৩০০ জনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে। বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।
এর আগে রামপুরায় অনাবিল বাসের চাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম নিহত হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রামপুরা থানায় একটি মামলা করেছেন তার মা রাশিদা বেগম।
এ বিষয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, নিহত শিক্ষার্থীর মা দায়ের করা মামলায় অনাবিলের চালককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গণপিটুনির শিকার সেই চালক একন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পুলিশি প্রহরায় চিকিৎসাধীন।
এদিকে একই ঘটনায় রামপুরা এলাকায় ৮টি বাসে আগুন ও ৪টিতে ভাঙচুর করায় পৃথক একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ নিজেই বাদী হয়ে মামলাটি করেছে।
ওসি আরও জানান, শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনার পরপরই বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়েছে। সেই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার রাত পৌনে ১১টার দিকে রাজধানীর রামপুরা এলাকায় গ্রিন অনাবিল পরিবহনের বাসের চাপায় মাইনুদ্দিন নিহত হয়। এ ঘটনায় রাতে সড়ক অবরোধ করে উত্তেজিত জনতা। এ সময় ঘাতক বাসসহ আটটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় আরও চারটি বাস।
এমআই