মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম অংশে হাইয়েস মাইক্রোবাসে যাত্রীবেশে ডাকাতি করার সময় তিন ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন নেত্রকোণা জেলার ফকিরাহাটের নোয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল মালেকের ছেলে আলামিন(৩৮), আবদুল হাকিমের ছেলে মনির হোসেন(৩০) ও একই জেলার মহোনগঞ্জ থানার বসন্তীয়া গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে পলাশ(৩৯)।
এ ঘটনায় যাত্রী ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বাঞ্চারামপুর থানার দড়িকান্তি গ্রামের সামছুল হকের ছেলে নুর হোসেন বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ডাকাতদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নুর হোসেন ও তাঁর বন্ধু তারেক হোসেন সোমবার রাত সাড়ে আটটায় ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে মিয়াবাজারে অবস্থান করে। কিছুক্ষণের মধ্যে একটি সাদা রঙের হাইয়েস(ঢাকামেট্রো-চ-১৫-৩৬৩৮) তাদের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। ড্রাইভার তাদেরকে ঢাকায় যাবে কি না জিজ্ঞেস করলে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে গাড়িতে উঠে বসে। আগে থেকেই গাড়ির পিছনের সিটে ৫-৬ জন যাত্রী ছিল।
গাড়িতে উঠার কিছু সময় পরে নুর হোসেন ও তার বন্ধু তারেক হোসেনকে গামছা দিয়ে হাত ও চোখ বেধে মারধর শুরু করে। এরপর তাদের সাথে থাকা নগদ ২১ হাজার টাকা ও মোবাইল সেট নিয়ে যায়। ড্রাইভার হোটেল নূর জাহানের সামনে গাড়ি ইউটার্ণ করে আবার চট্টগ্রামের দিকে চালায়।
এক পর্যায়ে নুর হোসেন ও তারেক হোসেনকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে ৫৪ হাজার টাকা আনতে বাধ্য করে।
মাইক্রোবাসের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে কর্তব্যরত থানা পুলিশের একটি টিম ধাওয়া করে গাংরা রাস্তার মাথায় মাইক্রোবাসটিকে ব্যরিকেড দেয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গাড়িতে থাকা ডাকাতরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন আলামিন ও মনির হোসেনকে আটক করতে সক্ষম হয়। পরে আটককৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঢাকার জুরাইয়নের কদমতলী এলাকা থেকে পলাশকেও আটক করতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, ‘পুলিশ সুপারের নির্দেশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ
উপজেলার বিভিন্নস্থানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমরা সক্রিয় রয়েছি। এরই অংশ হিসেবে সোমবার রাতে তাৎক্ষণিক তিন ডাকাতকে
আটক করা সম্ভব হয়েছে’।
সময় জার্নাল/এমআই