সময় জার্নাল প্রতিবেদক : বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন ডা. মুরাদ হাসান। পদত্যাগপত্রে তিনি ব্যক্তিগত কারণ উল্লেখ করেছেন। আজ দুপুরে মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার মাধ্যমে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।
এবার মুরাদ হাসানকে আওয়ামী লীগ থেকেও বহিষ্কার করা হবে কিনা তা নিয়ে জল্পনা চলছে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যেই। এর মধ্যেই আওয়ামী লীগের পরবর্তী কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় তার দলীয় সদস্যপদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
উল্লেখ্য, খালেদা জিয়ার নাতনী জাইমা রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় ব্যাপক সমালোচিত হন ডা. মুরাদ হাসান। পরে এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে তার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালেও নানান সময়ে বেফাঁস মন্তব্য করে আলোচনার জন্ম দিয়েছিলেন ডা. মুরাদ হাসান।
গত ১ ডিসেম্বর এক ফেসবুক লাইভে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেন খালেদা জিয়ার নাতনী জাইমা রহমানকে নিয়ে, যা সমালোচনার ঝড় তোলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। প্রতিবাদ জানায় সাধারণ জনগণ, বিভিন্ন সংগঠন এমনকি খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও। তার পদত্যাগ ও ক্ষমা চাওয়ার দাবিও তোলা হয়।
এমন অবস্থায় ডা. মুরাদকে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিষয়টি গতকাল সোমবার রাতে নিশ্চিত করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি। প্রধানমন্ত্রী তাকে আজকের মধ্যে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগেও সংবিধান নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করে সমালোচনার খোরাক যোগান ডা. মুরাদ। যদিও সেসময় বিষয়টিকে ব্যক্তিগত মতামত বলে ছাড় দেয়া হয়েছিল জামালপুর ৪ আসনের এই সংসদ সদস্যকে। কিন্তু এ যাত্রায় আর শেষ রক্ষা হলো না। তবে, মন্ত্রিসভা থেকে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দেয়া হলেও সংসদীয় আসন ও দলীয় পদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হবে তা নিয়ে ক্ষমতাসীনদের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।
সময় জার্নাল/এসএ