সময় জার্নাল স্পোর্টস ডেস্ক :
বৃষ্টিবিঘ্নিত ঢাকা টেস্টের পঞ্চম দিনে বুধবার (৮ ডিসেম্বর) ফলোঅনের লজ্জা এড়াতে পারলেন না বাংলাদেশ। অথচ প্রয়োজন ছিল মাত্র ২৫ রান। হাতে ছিল তিনটি উইকেট। ক্রিজে ছিলেন বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসানও।
৭ উইকেট হারিয়ে ৭৬ রান করে চতুর্থ দিন শেষ করার পর আজ শিশিরভেজা সকালে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তাদের সবকটি উইকেট হারিয়ে করেছে মাত্র ৮৭ রান। ফলোঅন এড়াতে হলে করতে হতো ১০১ রান। অর্থাৎ ১৪ রান পিছিয়ে ছিল।
প্রথম টেস্টে ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় টেস্টে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু চট্টগ্রামের পর মিরপুরেও একই চিত্রনাট্য। টপ অর্ডারের ধারাবাহিক ব্যর্থতার মিছিলে হতাশ করেছেন আশা ভরসার একমাত্র জায়গা বিশ্বস্ত মিডল অর্ডারও।
বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) পাকিস্তান তাদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রানে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টিম টাইগার্স।
স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩০ রান যোগ করতেই প্রথম সারির চার ব্যাটার সাজঘরে ফিরে যান। এরপর দলের অবস্থা আরও খারাপ হয়। পাকিস্তানি বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি মুমিনুলরা।
ব্যর্থতার মিছিলটা শুরু হয়েছিল অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয়কে দিয়ে। প্রথম টেস্টে ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর দ্বিতীয় টেস্টে তাকে সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু টেস্ট অভিষেক ম্যাচেই খালি হাতে ফিরলেন তিনি। ৭ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য।
পাকিস্তানের অফ ব্রেক বোলার সাজিদ খানের অফ স্টাম্পের বাইরে কিছুটা ঝুলিয়ে দেওয়া বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপে দাঁড়ানো বাবর আজমকে সহজ ক্যাচ দিলেন মাহমুদুল। আর তারপর সাজঘরে ফিরে গেলেন।
জয়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও। প্রথম থেকেই অস্বস্তিতে ছিলেন চট্টগ্রামের এই ক্রিকেটার। সেটি হতেই পারে। সাজিদ খানকে দ্বিতীয় সাফল্যটি সাদমান উপহার দিলেন আলগা শট খেলে। অফ স্টাম্পের বাইরে আপাত নির্বিষ বলে কাট শট খেলতে গিয়ে পয়েন্টে বদলি ফিল্ডার হাসান আলীকে ক্যাচ দেন সাদমান। আউট হওয়ার আগে ২৮ বল খেলে করেছেন মাত্র ৩ রান।
এরপর অধিনায়ক মুমিনুল রান আউটের শিকার হয়ে মাত্র ১ রান করেই ফিরে গেছেন। মুমিনুল শেষ কবে ভালো খেলেছিলেন, তিনিও হয়ত মনে করতে পারবেন না। চট্টগ্রামের পর ঢাকায়ও তার ব্যর্থতার রথ ছুটছেই।
চট্টগ্রামে লিটন দাসের সঙ্গে জুটি বেঁধে দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিকুর। কিন্তু ঢাকা টেস্টে তিনিও বেশি কিছু করতে পারলেন না। সাজিদ খানের বলে এক বল আগেই এলবিডব্লু হওয়ার হাক থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন।‘আম্পায়ারস কলে’র বদান্যতায় পাওয়া জীবনটা হেলায় হারালেন পরের বলেই। স্লগ সুইপ খেলে শর্ট মিড উইকেটে ফাওয়াদ আলমের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। এরপর অন্যরাও ব্যর্থতার মিছিল কেবল আরও বড় করেছেন।