ইমরান মাহফুজ, কবি ও গবেষক :
দেখা অদেখা প্রায় ঘটনার বিচার হয় না দীর্ঘদিন,
না হওয়ার কারনে অপরাধ বাড়ে; গুণে পরিমানে!
ভুক্তভোগীরা কাঁদে, কখনো কাঁদতেও পারে না, দেখা যায় বাস্তবতায় কাঁদার ক্ষমতাও সীমিত! পাশে কেউ এগিয়ে আসে না, ধরে না মন বা শরীর! উল্টো নিজেই যদি বিপদে পড়েন...
উপহাসে বলি ভাই--- কায়দা করে বেঁচে থাকো,
সময় পেলে স্লোগান দিও বঙ্গবন্ধুর বাংলায় ধর্ষকদের ঠাই নাই। আচ্ছা ধর্ষকদের বাড়ি কই, তাদের কে রক্ষা করে? তারা কারা, কী করে... উচ্চমনের রাষ্ট্রে নিম্নমানের রাজনীতি দেখতে দেখতে মারা যায় দাদা, বুড়ো হয় বাবা, বেড়ে উঠে সন্তান!
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচরণ অত্যন্ত বেদনার। রাষ্ট্রের বহুমাত্রিক সংকটে ভাবনা নেই, নেই সম্ভাবনা নিয়ে আলাপ। দিনের পর দিন তাদের অহেতুক বিশৃঙ্খলা আশার আলো হতাশার। অনেকটা নিভু নিভু বাতি আলোর চেয়ে কালি ছড়াচ্ছে বেশি...
★
আমরা জানি, রাষ্ট্রের ধর্ম দুর্বলকে রক্ষা আর দুর্জনকে প্রতিরোধ। অথচ সমাজে আজ দ্বন্দ্ব-হানাহানি, রাজনৈতিক কলহ-অস্থিরতা, সামাজিক অবক্ষয়, সহিংসতা বেড়েই চলছে। কখনো বা চলে রক্ষার নামে শুভঙ্করের ফাঁকি। স্বপ্ন মানুষকে বাঁচিয়ে রাখে কিন্তু নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের নিম্নবর্গীয় স্বপ্ন গল্প, উপন্যাসের মতো মলাটবন্দি।
জনশ্রুতি আছে নিয়মিতই গুম-খুন-হত্যা-ধর্ষণের মতো অপরাধ করে পার পেয়ে যাচ্ছে পূর্বসূরিদের উৎসাহে। মনে রাখা দরকার, অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়াই নতুন সদস্যদের অপরাধের দিকে ঠেলে দেওয়া।
তবে এই নিদারুণ কষ্টের শহরে বুঝলাম- সবার ‘স্বপ্নপূরণ হয় না, নিয়তির নিয়মে থাকে অধরা । অবরোধ প্রত্যাহার, ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম কাগজে অনলাইনে মানায়! অন্যদিকে প্রতিদিনকার মৃত্যু দৃশ্য চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয় আমল বদল হলেও জনতার আমলনামা পরিবর্তন হয় না। অথচ এ শ্রেণির মানুষের ওপরই টিকে থাকে রাষ্ট্র !