সময় জার্নাল প্রতিবেদক : বালাইনাশক বিধিমালা সহজীকরণের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ এগ্রোকেমিকেল ম্যানুফ্যাকচারারস্ এসোসিয়েশন।
সোমবার বিকেলে (১৩ ডিসেম্বর) সংগঠনটির আহ্বয়ক কে এসএম মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রস্তাবটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রী, সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়।
প্রস্তাবটিতে উল্লেখ করা হয়, বালাইনাশক (পেস্টিসাইডস) বিধিমালা, ২০২১-এ প্রনয়ণের কাজ চলতেছে। বালাইনাশক উৎপাদন ও বিপননে ইহা নিঃসন্দেহে যুগান্তকারী পদক্ষেপ। বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকারের ৪র্থ শিল্প বিয়ব বাস্তবায়নে ইহা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ইতোমধ্যে দেশীয় বালাইনাশক শিল্প বিকাশের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ম্যানুফ্যাকচারার্স এসােসিয়েশন (BAMA) গঠিত হয়েছে। উক্ত এসােশিয়েশন দেশীয় ম্যানুফ্যাকচারার্সদের বিভিন্ন সমস্যাবলি উত্তরণের জন্য প্রয়ােজনীয় কাজ করে যাচ্ছে।
সোর্স উন্মুক্তকরণের মাধ্যমে দেশীয় বালাইনাশক শিল্পের বিকাশ সাধন
‘পেষ্টিসাইড অর্ডিন্যান্স ১৯৭১, পেটিসাইড রুলস ১৯৮৫ (১৬ নভেম্বর ১৯৮৫), পেটিসাইড এমেন্ডমেড রুলস ২০১০ (পেষ্টিসাইড লস সংশােধন) (৩ আগষ্ট ২০১০), বালাইনাশক (গােষ্টিসাইডস) আইন ২০১৮ (২১ জুলাই ২০১৮) এর বিভিন্ন বিধিবিধান মেনে চলে ম্যানুফ্যাকচারার্সন বালাইনাশক উৎপাদন ও বিপনণ করে আসছেন। কিন্তু কতিপয় কারণে বালাইনাশক উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে বিচার বছর হতে কোভিড-১৯ কালীন সময়ে বিভিন্ন প্রিন্সিপাল কোম্পানী কর্তৃক কাঁচামাল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার দরুণ বালাইনাশক ব্যবসা বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে অঝিম করে আসছে। ইতােমধ্যে অনেক প্রিন্সিপাল কােম্পানী কাঁচামাল উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে দেশীয় বালাইনাশক উৎপাদনকারী কোম্পানি গুলাে কাঁচামালের অভাবে ব্যবসা বন্ধ করার উপক্রম হয়েছে। সাের্স পরিবর্তন বিষয়ে বিভিন্ন বাধ্যবাধগতার দরুণ সাের্স পরিবর্তন প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। এমনকি একক লাের্স নীতির ফলে দেশীয় বালাইনাশক উৎপাদনকারী কোম্পানীগুলাে প্রিন্সিপাল কোম্পানী থেকে উচ্চমূল্যে কাঁচামাল আমদানী করতে বাধ্য হয়।
এমতাবস্থায় সাের্স উন্মুক্তকরণ বিষয়টি সময়ের দাবি। এতে করে ব্যবসায়ীগণ যেমন, সঠিকভাবে এবং সহজভাবে কাঁচামাল আমদানী করতে পারবেন, তেমনিভাবে কৃষকগণও সঠিক সময়ে সঠিক বালাইনাশক ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন। এতে করে ফসলের উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাবে সেই সাথে খাদ্য, পুষ্টি ও নিরাপত্তা বিষয়ে নিশ্চিত পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীর জন্য বিদেশী সাের্স উন্মুক্ত থাকায় দেশীয় কোম্পানীগুলাে প্রতিযােগীতামূলক নামে কাঁচামাল ও অন্য সহায়ক উপাদান সংগ্রহ করতে পারে। এ কারণে দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানীগুলো আমাদের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে ওষধ রফতানি করতে পারছে। অথচ বৈষম্যমূলক বিধির কারণে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কৃষিখাত পিছিয়ে পড়ছে। এজন্য দেশীয় উদ্যোক্তারা কৃষি শিল্পে উৎসাহ হারিয়ে ফেছে। যার একতরফা সুযােগ নিয়ে যাচ্ছে বহুজাতিক কোম্পানীগুলাে। স্থানীয় বালাইনাশক শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে দেশে বিশ্বমানের বালাইনাশক উৎপাদনে এবং দেশের কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নের স্বার্থে দেশের বালাইনাশক শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে শিল্প বিধি অন্তভুক্তিকরণের জন্য প্রস্তাব প্রেরণ করা হলো।’
‘অতএব উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইং হতে বালাইনাশক রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট প্রদানের সময় দেশীয় বালাইনাশফ ম্যানুফ্যাকচারকারীগণের প্রস্তাবিত নূন্যতম ৫টি সাের্সের নাম উল্লেখ থাকবে। দেশীয় বালাইনাশক ম্যানুফ্যাকচারকারীগণের রেজিষ্ট্রার্ড বালাইনাশকের রেজিষ্ট্রেশন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে একই ব্রান্ড, একই জেনেরিক, একই কনসেনটেশন এবং একই ফরমুলেশন অবিকল রেখে রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেটে বাংলাদেশে কোন সংস্থার এবং বিদেশে কোন প্রিন্সিপাল কোম্পানী পরিবর্তনের জন্য শুধুমাত্র নমুনাটির ল্যাব টেস্টের মাধ্যমে সাের্স পরিবর্তন করা যাইবে।’
সময় জার্নাল/আরইউ