জীবন হক, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের ২০ টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ছড়াচ্ছে নির্বাচনীর সহিংসতার উত্তাপ।
এবার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়নে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর খুলি বৈঠক শেষে সেখানে নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা এসে অতর্কিত হামলা চালায়।
এ হামলায় নারী ও শিশু সহ অন্তত ৮ থেকে ১০ জন্য আহত হয়েছেন এবং অনেকগুলো চেয়ার ও বাড়ির আসবাপত্র ভাঙচুর করেছেন বলে অভিযো উঠেছে। আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনছারুল হক এই অভিযোগ করেন।
শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনছারুল হক জানান. খুলি বৈঠক শেষ করে আমি সকলের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে যাচ্ছিলাম। এমন সময় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী অনিল কুমার সেনের সমর্থকরা ৪০ থেকে ৫০ জন এসে এ অতর্কিত হামলা চালায়। এখানে তারা নারী শিশু সহ আরও ১০ জনকে মারধর করে এবং চেয়ার সহ ঘরের আসবাপপত্র ভাঙচুর করে।
তিনি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এই যদি হয় সুষ্ঠু নির্বাচনের নমুনা তাহলে আমাদের বলে দেন আমরা নির্বাচন করা বন্ধ করে দেই। আমি এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌকা মার্কার প্রার্থী অনিল কুমার সেন এর কাছে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি একবার ফোন কেটে দেন। পরে তার মুঠোফোনে আবার কল করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
রুহিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, হামলার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক পুলিশ সেখানে যায়। গিয়ে দেখে চেয়ার ভাংচুর করা হয়েছে। কে বা কারা এমন হামলা চালিয়েছে তা খুঁজে বের করতে পুলিশের অভিযান চলছে। কোন লিখিত অভিযোগ পেলে এবং তদন্ত স্বাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।
সময় জার্নাল/এলআর