আব্দুল্লাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
‘এতো ভয় কা এতো ভয় কা। আপনেগো মটর সাইকেল চাইর খান ভাঙ্গি ফালাইছে, মানুষ চাইরজন আহত হইছে। হইবোতো, ইলেকশন হইলে হইবো না? হারেনতো না, নিজেরা চাইরগা যখন উইডেড হইছে তখন আষ্টেগা (আট) উইনডেড করতে হাইরলেইন না কা (পারলেন না কেন) ? হেইটা হারেন ন কা ( সেটা পারেন না কে) ? হরে মাইয়া হোলার মতো কাঁইনবেন আরি (পরে মেয়েছেলের মতো কাঁদবেন আরকি ), আনগোরে মাইচ্ছে (আমাদেরকে মারছে), আনগোরে মাইচ্ছে (আমাদেরকে মারছে)। এগিন করি ভোট অয়না (এগুলো করে ভোট হয়না) । ঠেলি খেইলতে হবে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ঠেলি খেলতে হবে। এতো কথার দরকার নাই, আর কিছু কইতে অইবো ? ঠেলি খেলতে হবে ইনশাআল্লাহ্ নৌকাকে জয় করতে হবে।
গত শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নের দাদপুর বাজারে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে এক কর্মিসভায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম এসব কথা বলেন। রোববার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ বক্তব্যের ভিডিও ভাইরাল হয়।
এরপর একই দিন দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে পূর্ব চরমটুয়া ইউনিয়নের মৌলভীটোলা বাজারে নৌকা প্রার্থীর পক্ষে এক পথসভায় তিনি বলেন,‘ধমক দিবেন আপনারা। আরে মিয়া ঠেলে খেলান (ঠেলে খেলেন), ঠেলে খেলান(ঠেলে খেলেন)। আইনশৃংখলা ঠান্ডা রাখবেন, সব ঠিক রাখবেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ইনশাআল্লাহ্ ঠেলি খেলাইবেন । নৌকাকে জয় করাতে হবেই।’
তাঁর বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক এ এইচ এম খায়রুল আনম সেলিম বলেন এগুলো ভুয়া কথা,মিথ্যা কথা,বাজে কথা।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন বলেন, এ বক্তব্যটা আমার প্রাক্টিক্যালি মনে হয়েছে আমাদের কর্মিদের আরেকটু উজ্জীবিত হয়ে দলের পক্ষে কাজ করার জন্য তিনি বলেছেন। কারণ অনেক জায়গায় আমাদের বিদ্রোহী প্রার্থী আছে। নির্বাচনকে প্রভাবান্বিত করার জন্য তিনি কোন কথা বলেননি। তিনি এ পর্যায়ের লোক না। এ বক্তব্যকে অন্যভাবে ব্যাখা করা সঠিক হবেনা।
নোয়াখালী জেলা জ্যেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিউল আলম জানান,এ বক্তব্যটি আমার নজরে আসেনি। এ বিষয়ে আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন আহবায়ক অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, জেলা সদস্য আবু তাহের প্রমুখ।
সময় জার্নাল/এলআর