প্রযুক্তি ডেস্ক : এক অভিনব টিভি পর্দা বানিয়ে বসেছেন জাপানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক; পর্দায় দেখানো খাবারের স্বাদ পাওয়া যাবে ওই ‘টেস্ট-দ্য-টিভি’র পর্দা চেটে। আর টেলিভিশনের পর্দা চাটার বিষয়টি যেন স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে না দাঁড়ায়, সেজন্য পর্দারে উপর রয়েছে ‘স্বাস্থ্যসম্মত ফিল্ম’।
টেলিভিশন পর্দায় খাবারের স্বাদ আসে ১০টি ক্যানিস্টার থেকে। সেখান থেকে বিভিন্ন স্বাদের তরল স্প্রে করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় টিভি পর্দার উপরে থাকা স্বাস্থ্যসম্মত ফিল্মের উপর। তবে ‘মেইজি ইউনিভার্সিটি’র অধ্যাপক হোমেই মিয়াশিতা’র মতে, শিক্ষানবিশ রাঁধুনী বা তরল পানীয় বিশেষজ্ঞদের দূর প্রশিক্ষণে ব্যবহার করা যেতে পারে এই প্রযুক্তি।
‘চেটে স্বাদ নেওয়ার উপযোগী’ স্বাস্থ্যসম্মত টিভি পর্দার প্রথম প্রোটোটাইপ বানিয়েছেন অধ্যাপক মিয়াশিতা। তবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করলে এর খরচ কম-বেশি আটশ’ ৭৫ ডলার হবে বলে ধারণা করছেন তিনি।
মিয়াশিতা রয়টার্সকে বলেছেন, “লক্ষ্য হচ্ছে ঘরে বসে পৃথিবীর আরেক প্রান্ত থেকে খাবার খাওয়ার মতো অভিজ্ঞতাকে সম্ভব করা।”
মিয়াশিতা এই ‘স্বাদ স্প্রে করার প্রযুক্তি’র সম্ভাব্য বাণিজ্যিক প্রয়োগ নিয়ে প্রযুক্তি পণ্যের উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলাপ করছেন–এমন খবর রটেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। এর সম্ভাব্য প্রয়োগ হিসেবে বলা হচ্ছে স্টোস্টের উপর বিভিন্ন স্বাদের তরল স্প্রে করা।
আর অধ্যাপক মিয়াশিতা স্বপ্ন দেখছেন ‘ডাউনলোডএবল টেস্ট কনটেন্ট’-এর। চলতি কোভিড মহামারীর যুগে মানুষের একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগের প্রক্রিয়ার এই ধরনের প্রযুক্তির নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করছেন তিনি।
তবে খাবার বা স্বাদ নিয়ে অধ্যাপক মিয়াশিতা ও তার শিক্ষার্থীদের এটাই প্রথম উদ্ভাবন নয়। এর আগে খাবারের স্বাদ আরও বাড়িয়ে দেয় এমন কাঁটাচামচ উদ্ভাবন করেছিলেন তারা।
সংবাদকর্মীদের সামনে নিজের উদ্ভাবনের কার্যক্ষমতার প্রায়োগিক প্রমাণও দিয়েছেন মিয়াশিতার শিক্ষার্থীরা। যন্ত্রটিকে “মিষ্টি চকলেট” খেতে চান বলে জানান এক শিক্ষার্থী। কয়েকবারের চেষ্টার পর ওই শিক্ষার্থীর ইচ্ছা অনুযায়ী স্বাদ স্প্রে ছড়িয়ে যায় পর্দার উপরে থাকা ‘স্বাস্থ্যসম্মত’ প্লাস্টিক ফিল্মে। শিক্ষার্থী পর্দা চেটে জানান, “এটার স্বাদ মিল্ক চকলেটের মতো”-- বলছে বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রকাশিত খবর।
সময় জার্নাল/এসএ