সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) প্রাক্তন ছাত্র সমিতির কার্যকরী কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ।
২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর মাতুয়াইলে মা ও শিশু স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সমিতির জাতীয় সম্মেলনে তাঁকে শেবাচিম প্রাক্তন ছাত্র সমিতির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন নিটোরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আ. গণি মোল্লাহ (৯ম ব্যাচ)। যুগ্ম-সম্পাদক হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের চেয়ারমান অধ্যাপক ডা. মোঃ আসাদুল ইসলাম (৭ম ব্যাচ) এবং কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন মেডিনোভা মেডিক্যাল সার্ভিসেস এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডা. মোঃ মোনোয়ার হোসেন (৪র্থ ব্যাচ)।
উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তিনি ৭ম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন।
চোখের রোগসমূহের চিকিৎসা, প্রতিরোধসহ কমিউনিটি অফথালমোলজিতে অসামান্য অবদান রাখা অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ গত ২৯ মার্চ ২০২১ইং তারিখে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বিএমএ) এর মহাসচিব হিসেবে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন), প্রিভেনটিভ এন্ড সোস্যাল মেডিসিন অনুষদের ডিন, কমিউিনিটি অফথালমোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেট সদস্য ও একাডেমিক কাউন্সিলের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ এর ইসি সদস্য। তিনি অফথালমোলজীক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর পরপর তিনবার নির্বাচিত সভাপতি।
অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ এর ১০০ টি’র মত বিএমডিসি স্বীকৃত জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক প্রকাশনা রয়েছে। বাংলায় চক্ষু বিষয়ক ৩টি ও ইংরেজীতে ২টি বই রয়েছে। তিনি গ্রামেগঞ্জে কমিউনিটি চক্ষু শিবিরে প্রায় ১ লক্ষ চোখের অপারেশন করেছেন। তিনি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকার একজন স্বনামধন্য কলামিষ্ট। পাশাপাশি তিনি চক্ষু বিষয়ক বিভিন্ন টিভি ও রেডিও টকশোর আলোচনায় অংশগ্রহণ করে থাকেন। পেশাগত বিভিন্ন সংস্থার সাংগঠনিক ও একাডেমিক কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। আন্তর্জাতিক সম্মাননার মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট পরিসেবা পুরস্কার (২৭তম এপিএও কংগ্রেসে উপস্থাপিত, বুশান ২০১২), অন্ধত্ব প্রতিরোধ সম্মাননা (এপিএও এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অফ অফথালমোলজী ২০১৬), নেপালের পোখারেল ভেস্কটস্বামী পাড়া রাজাসাগরাম (পিভিপি), কমিউনিটি চক্ষুবিদ্যায় অসাধারণ কাজের জন্য পুরস্কার (এসএও) ২০১৮, স্বর্ণ পুরস্কার সিসিসি কলকাতা ২০১৯, এআইওসি অ্যাওয়ার্ড গুরুগ্রাম ২০২০ উল্লেখযোগ্য। ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বড় দুই ভাই মুক্তিযোদ্ধার সাথে তিনিও মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন।
সময় জার্নাল/ইএইচ