আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলেছে, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রন, অর্থনীতি সচল ও সক্রিয় রাখার স্বার্থে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক আইসোলেশন মেয়াদ হ্রাস করা হচ্ছে।
মার্কিন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সোমবার করোনাভাইরাসের উপসর্গবিহীন সংক্রমণ আশঙ্কায় কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ ১০ দিন থেকে ৫ দিন করার ঘোষণার পর। স্পেন বলেছে তারা কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ ১০ দিন থেকে কমিয়ে ৭ দিন করবে।
বিশ্বব্যাপী গত সপ্তাহে ওমিক্রন সংক্রমন ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকারগুলো সংক্রমণ রোধ এবং অর্থনীতি সচল রাখার মধ্যে কার্যকর ভারসাম্য খুঁজে পেতে লড়াই করছে।
ডব্লিউএইচও’র জরুরি পরিচালক মাইকেল রায়ান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, লোকেরা যদি কোয়ারেন্টাইনের সময়কাল কমিয়ে দেয়, তাহলেও স্বল্প সংখ্যক লোক সংক্রমিত হবে, যা সংক্রমণ আরো ছড়াবে এবং সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকবে।
তবে এই সংখ্যা কম হবে এবং অনেক লোক যাদের মধ্যে সংক্রমণ ঘটেনি, তারা কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি পাবে।
সুতরাং এটি বিজ্ঞান এবং সংক্রমণ রোধে একটি নিখুঁত ভারসাম্য খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করতে পারেন, এতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি ও সামাজিক সংকট কমিয়ে আনা যেতে পারে- সরকারগুলো এই ভারসাম্য খুঁজে পেতে চেষ্টা করছে।
কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে ডব্লিউএইচও’র নির্দেশনা হলো উপসর্গ আছে এমন রোগীদের উপসর্গ শুরুর পর থেকে ১০ দিন, এর সঙ্গে উপসর্গমুক্ত অবস্থায় আরো ৩ দিন। উপসর্গহীনদের ক্ষেত্রে পজেটিভ টেস্টের পর থেকে ১০ দিন।
রায়ান বলেন, এখন পর্যন্ত গড় ইনকিউবেশন পিরিয়ড ৫ বা ৬ দিন, এটি ছিল সংক্রমণের সুপ্ত অবস্থার মেয়াদ।
৫, ৬ অথবা ৭ দিন পরে কারও উপসর্গ দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে, এ ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন থেকে মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
এমআই