কামরুল ইসলাম সজল। শেকৃবি প্রতিনিধি : করোনাকালে ডিজিটাল কৃষি সেবা প্রদানে অবদান রাখায় "শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০" পেয়েছে ই-কৃষি ক্লিনিক।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ‘ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’-এর অধীনে প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
ঢাকা ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল'র সমাপনী অনুষ্ঠানে বঙ্গভবন থেকে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে বেস্ট ইনোভেটিভ আইডিয়া ক্যাটাগরিতে ‘ই-কৃষি ক্লিনিক’ এর পুরস্কার গ্রহণ করেন সহ- প্রতিষ্ঠাতা মো. মমিন সরকার ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম মোমেন, আইসিওয়াইএফ'র সভাপতি তাহা আয়হান, মালদ্বীপের যুব, ক্রীড়া এবং সামাজিক ক্ষমতায়ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আহমেদ মাহলুফ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার হোসেন প্রমুখ।
কোভিট-১৯ এ ভূমিকা রাখা তরুণদের উৎসাহিত করতে ১০ টি ক্যাটাগরিতে দেশসেরা ১০০ তরুণকে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর নামে শেখ হাসিনা ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। বেস্ট ইনোভেটিভ আইডিয়া ক্যাটাগরিতে ৬ষ্ঠ স্থান অর্জন করেছে ই-কৃষি ক্লিনিক।
করোনাকালীন চলমান লকডাউনে সারাদেশে কৃষকদের সঠিক পরামর্শ দিতে চালু হয় ই-কৃষি ক্লিনিক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কৃষক, ছাদ বাগানী ও কৃষি উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন কৃষি পরামর্শ ও ফসলের রোগবালাই এর সমাধান দিতে ২৫ জনের দক্ষ টিম কাজ করে যাচ্ছে। এক বছরে দেশের ৫৫টি জেলার ১১৯টি উপজেলা থেকে বিনামূল্যে কৃষি পরামর্শ নিয়েছে ১ হাজারের বেশি কৃষক। কৃষিতে যুক্ত নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি।
ই-কৃষি ক্লিনিকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মো. মমিন সরকার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন, এই অ্যাওয়ার্ড আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। কৃতজ্ঞতা আয়োজকদের প্রতি। কৃষি প্রদান বাংলাদেশের কৃষকদের পাশে দাড়াতে আমাদের উদ্যোগ শুরু হয়েছিল। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে কৃষির আধুনিকায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে যে কেউ আমাদের থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। এই অর্জন আমাদের সামনে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।
সময় জার্নাল/আরইউ