সময় জার্নাল ডেস্ক :
‘মুছে যাক গ্লানি ঘুচে যাক জরা/ অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা/...বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক’ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এভাবেই নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছেন। আজ ১৭ পৌষ কুয়াশার চাদর ভেদ করে পূর্বাকাশে নতুন স‚র্যের আলোয় পুরোনো গ্লানি-জরা ধুইয়ে-মুছে ক্যালেন্ডারের পাতায় নতুন বছরের সূচনা হবে। স্বাগত ২০২২। হ্যাপি নিউ ইয়ার (শুভ নববর্ষ)।
নতুন বছরের প্রথম দিন আজ। প্রকৃতির নিময়েই পূর্বাকাশে উঠেছে নতুন স‚র্য। অতীতের হিংসা-বিদ্বেষ পেছনে ফেলে, সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির সম্মিলনে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম দিন। গতকাল বৃহস্পতিবার স‚র্যোস্তের মধ্য দিয়ে কালের গর্ভে হারিয়ে গেছে ২০২১ সাল। আজকের স‚র্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হলো ২০২২ সালের দিনপঞ্জি।
২০২১ সাল দেশের মানুষের জন্য ছিল অস্থিরতার বছর। মেগা প্রকল্পের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকলেও নানাবিধ সংকট, সংশয়, অস্থিরতা, অঘটন, উত্তেজনা, অনিশ্চয়তা, ভোগান্তি, বিতর্ক, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি আর বৈশ্বিক মহামারি করোনা আতঙ্কের মধ্যদিয়ে কেটে গেছে আরেকটি বছর।
মাঠের রাজনীতি নিস্তেজের মধ্যেই বিভিন্ন ইস্যুতে হঠাৎ হঠাৎ উত্তাপ, রাজনৈতিক হানাহানি, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী সহিংসতায় প্রাণহানি, ডিজেলের দাম বৃদ্ধিতে জনগণের ভোগান্তি, ভাড়া বৃদ্ধির নামে নৈরাজ্যকর পরিবহন খাত, শিক্ষার্থী আন্দোলন, পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন অবমাননতা ইস্যুতে সংঘাত-প্রাণহানি, সড়ক ও নৌদুর্ঘটনার মিছিল, দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ৭ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আমেরিকায় নিষিদ্ধ ঘোষণা, অথিকথনের কারণে কয়েকজন মেয়রকে বরখাস্ত, একজন প্রতিমন্ত্রীর ইসলাম ও নারী বিদ্বেষী কথাবার্তা এবং সিনেমার নায়িকাকে ধর্ষণের হুমকিতে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া ইত্যাদিতে কেটেছে বছরটি। বছরজুড়েই ভোট-গণতন্ত্র ও মানবাধিকার নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন এবং দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে বিতর্ক। খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে আন্দোলন। বিপরীতে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড গণমাধ্যমের পাতাজুড়ে ছিল।
মানুষের জীবন-জীবিকার সংগ্রামের মধ্যেই নিম্নবিত্ত থেকে
নিম্নমধ্যবিত্তের দেশে রুপান্তর, উন্নয়নের মহাসড়কে ছুটে চলা, বিশ্ব অর্থনীতিতে সামনের কাতারে আসা, রেমিট্যান্স রেকর্ড, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিতে ছিল নতুন চমক। নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন, চীনের সহায়তায় ঢাকায় মেট্রোরেল, চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর দলদেশে ট্যানেল, পাবনায় পারমানবিক বিদ্যুৎ চুল্লিসহ বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন; নতুন নতুন মেগা প্রকল্প গ্রহণের মাধ্যমে উন্নয়নের স্রোতধারা অব্যাহত থাকে। উন্নয়নের এই স্রোতে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিতকরণ, মানবাধিকার, পরিবেশ দূষণ ও সুশাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো চাপা পড়ে। করোনার টিকার টাকা নিয়েও অতীতের মতোই ভারত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করেছে; তবে বন্ধু হিসেবে চীন পাশে দাঁড়িয়েছে।
প্রশাসনে আমলাতন্ত্র জেঁকে বসেছে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ হয়নি। উচ্ছিষ্টভোগী বুদ্ধিজীবীদের ‘ঘুম পাড়িয়ে’ রেখে রাষ্ট্রীয়যন্ত্রকে ব্যবহার করে বিরোধীদের হামলা-মামলা-ঠেঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে। বছর শেষে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে প্রেসিডেন্ট রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করলেও বিএনপিসহ কিছু দল তা বর্জন করেছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে; মানবাধিকার কমিশনের ইমেজ তলানিতে রয়ে গেছে।
করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে। দুই বছর পর সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজ-মাদরাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে। তবে বিদায় নেয়া ২০২১ সালের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা শ্রেণি পেশার মানুষকে রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়েছে জীবন-জীবিকা নিয়ে। বছর শুরু হয়েছিল করোনা ভারতীয় ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক নিয়ে আর শেষ হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার ওমিক্রনের উৎকণ্ঠা দিয়ে। বছরজুড়ে সাধারণ নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মানুষকে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে দ্রব্যমূল্যের জাঁতাকলে পড়ে। পেঁয়াজ, তেল, চিনি, চাল, ডালসহ প্রায় সবধরনের নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে দফায় দফায়। বছরজুড়েই সাধারণ মানুষকে দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়তে হয়েছে। বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী মজুতদার, আড়তদার সিন্ডিকেট করে পণ্যের মূল্য বাড়িয়েছে।
দেশের অর্থনৈতিক বিষয়ক গবেষণাধর্মী সংগঠনগুলোর তথ্য মতে করোনা মহামারিতে দেশের অধিকাংশ মানুষের আয় কমে যায়। বিপুলসংখ্যক মানুষ চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। তাদের অনেকেই এখনো কাজে ফিরতে পারেনি। যারা কাজ করছেন তাদের বড় অংশের বেতন কমে গেছে। অথচ কোটিপতি বেড়েছে। বিদেশে টাকা পাচার বেড়েছে। ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে। সামজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে তৈরি হয় সামাজিক অস্থিরতা। ব্যবসা-বাণিজ্য, চাকরি, সরকারি ও বেসরকারি খাত, শিল্প-কারখানা, ক্ষুদ্র ব্যবসা সব ক্ষেত্রেই বছরজুড়ে ছিল অচলাবস্থা। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষি ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়েছে ব্যাপক। যার ফলে ব্যাহত হয়েছে উৎপাদন। আমদানি-রফতানিতে পড়েছে নেতিবাচক প্রভাব। কমে গেছে আমদানি-রফতানি। গার্মেন্টসসহ শিল্প খাতের বহু মানুষ ছাঁটাইয়ের শিকার হয়েছেন।
বছরজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ইস্যু নিয়ে বিতর্ক ছিল। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ইসলাম বিদ্বেষী ও নারী বিদ্বেষী বক্তব্যে বিতর্কের ঝড় ওঠে। একজন নায়িকাকে ধর্ষণের হুমকির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়। অতপর তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। মন্ত্রিত্ব হারিয়ে কানাডা পালিয়ে গেলেও সেখানে জায়গা হয়নি; পথে দুবাই ঢুকতে চেষ্টা করলেও তার জায়গা হয়নি। বাধ্য হয়েই ফিরে আসেন। এ ছাড়াও বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অপ্রীতিকর কথাবার্তার ঢেউ ছিল বছরজুড়ে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বক্তব্য ভাইরাল হওয়ায় গাজীপুরের মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, রাজশাহীর কাউখালি পৌরসভার মেয়র মো. আব্বাস আলী, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভার মেয়র শাহানশাহকে বরখাস্ত করা হয়।
এছাড়াও কুমিল্লায় একটি পূজামন্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনায় দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় উঠে। পরবর্তীতে কয়েক জেলায় সংঘাত-সংঘর্ষ ও রংপুরের মাঝিপল্লিতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের পরিবহনে নৈরাজ্য ছিল বছরজুড়ে আলোচনায়। বছরজুড়েই ঘটেছে অনেক বড় বড় দুর্ঘটনা। রাস্তায় প্রাণ হারিয়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। রাস্তায় শৃঙ্খলা ফেরাতে ও হাফ ভাড়া কার্যকরের দাবিতে রাস্তায় নেমে আসে শিক্ষার্থীরা। বিদায়ী বছরের শেষ প্রান্তে বরগুনাগামী একটি বড় লঞ্চ মাঝনদীতে অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে অন্তত ৪৩ যাত্রী প্রাণ হারিয়েছেন।
বিগত বছরে রাজনীতির জন্য মোটেও সুখকর ছিল না।
বিএনপি নেতা-কর্মীদের কেটেছে দলটির চিকিৎসাধীন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার আন্দোলনে। খালেদা জিয়াকে ‘মুক্তি’ দিয়ে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে আন্দোলনে মাঠে নামে দলটি। কিন্তু কোনো ফল ঘরে তুলতে পারেনি। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেটেছে কোন্দল, হানাহানিতে। বছরজুড়েই আলোচনায় ছিল ছাত্রলীগের বিতর্কিত কর্মকান্ড। বছরের প্রথম দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর কেন্দ্র করে মাঠে নামে হেফাজতে ইসলাম। তারা ঢাকা ও বাইরে ব্যাপক আন্দোলন করে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা নেতা মহিবুল্লাহ হত্যাকান্ড আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচিত হয়। আলোচনায় আসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনের ঘটনা।
বছরজুরে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অস্থিরতা। বছরের শুরুতে করোনার টিকা বাজারে এলে শুরু হয় টিকা রাজনীতি। দেশের সবচেয়ে সঙ্কটময় সময়ে ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে টিকা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এরপর টিকায় কূটনীতিতে আসে নতুন মোড়। সরকার তাৎক্ষণিকভাবে চীন, আমেরিকা, রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করে। ফলে রাশিয়া, চীন ও আমেরিকা থেকে টিকা আসতে থাকে। তবে এসময় উন্নয়ন সহযোগী চীন এসে পাশে দাঁড়ায় বাংলাদেশের। তার বিপুল পরিমাণ টিকা সহায়তার পাশাপাশি বিক্রিও করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান টিকা সহায়তা করে। ডিসেম্বরের প্রথম দিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আয়োজিত গণতন্ত্র সম্মেলন ‘সামিট ফর ডেমোক্র্যাসি’তে বাংলাদেশকে ডাকা হয়নি। ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে বর্তমানের পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদসহ র্যাবের ৬ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সরকার। সামরিক খাতে মার্কিনীদের দেয়া অর্থ কীভাবে খরচ হচ্ছে, তা জানতে চাওয়া হয় এবং সহায়তা নিতে হলে চুক্তি করতে বলা হয়। বছরজুড়ে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে পাঠানো চেষ্টা করলেও সফলতা আসেনি।
বিদায়ী বছরটা ছিল মুজিববর্ষের অংশ। ফলে বছরের বেশিরভাগ সময় মুজিববর্ষ ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ছিল। ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ। এটি সরকারের জন্য একটা বড় ধরনের কূটনৈতিক সাফল্য। বছরের শেষ দিকে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো এই আয়োজনকে পাত্তাই দিচ্ছে না। বিদায়ী বছরের প্রত্যাশিত ঘটনার মধ্যে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায় দেওয়া হয় ৮ ডিসেম্বর। এতে অভিযুক্ত ২০ জনকে মৃত্যুদন্ড ও পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দেয় আদালত। বিদায়ী বছরে অনেক কিছুই প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি; আবার অর্জনও কম নয়। তবে নতুন বছরে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষ সুশাসন পাবে সে প্রত্যাশা করছেন ১৭ কোটি মানুষ।
ঘুরে দাঁড়ানোর সক্ষমতায় বাংলাদেশ অনন্য। গত কয়েক বছরে বদলে গেছে দেশের অর্থনীতি; গ্রাম হয়ে গেছে শহর। রেমিট্যান্সে সাফল্য, মাথাপিচু আয় বেড়েছে। করোনা মোকাবিলায় সাফল্য দেখিয়েছে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও অনেক পেয়েছে দেশের মানুষ। তবে যা পায়নি নতুন বছর সেগুলো পাবেন, সে প্রত্যাশা করতেই পারেন।
দেশবাসীকে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা : প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর-২০২২’ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তারা উভয় পৃথক পৃথক বাণীতে তিনি আজ এক বাণীতে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর-২০২২ উপলক্ষে দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
শুভেচ্ছা বাণীতে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ বলেন, নতুন বছরে বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবে। অতীতকে পেছনে ফেলে সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ আমাদের মাঝে সমাগত। নতুনকে বরণ করা মানুষের স্বভাবজাত প্রবৃত্তি। নববর্ষ সকলের মাঝে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাক বাংলাদেশ-খ্রিষ্টীয় নববর্ষে এ প্রত্যাশা করি। তিনি আশা প্রকাশ করেন, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ সবার জীবনে অনাবিল আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনবে।
শুভেচ্ছা বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রকৃতির নিয়মেই যেমন নতুনের আগমনি বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, তেমনি অতীত-ভবিষ্যতের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে পুরনো স্মৃতি সম্ভারে হারিয়ে যাওয়ার চিরায়ত স্বভাব কখনও আনন্দ দেয়, আর কখনোবা কৃতকর্মের শিক্ষা নব উদ্যোমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়। প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত-সমৃদ্ধ ও অসা¤প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন জোরদার, সকল সংকট দূরীভূত এবং সকলের জীবনে অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
এমআই