আন্তর্জাতিক ডেস্ক। করোনাভাইরাসের নতুন রূপান্তরিত ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে বাড়ছে কোভিডে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। ২০২১ সালের শেষ দিন, বৃহস্পতিবার বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ২৬ হাজার ৫০৩ জন এবং এ রোগে এই দিন মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৬০৬ জন।
আক্রান্ত-মৃত্যুর এই সংখ্যা অবশ্য তার আগের দিন বুধবারের চেয়ে কম। ওইদিন বিশ্বজুড়ে নতুন আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ১৮ লাখ ৯১ হাজার ৯৫৬ এবং মারা গিয়েছিলেন ৭ হাজার ৩৩৩ জন।
২০২০ সালে মহামারি শুরুর পর থেকে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হালনাগাদ সংখ্যা প্রকাশকারী ওয়েবসাইট করোনাভাইরাস ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার কোভিডে আক্রান্তের হিসেবে বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে শীর্ষে ছিল যুক্তরাষ্ট্র, আর এ রোগে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন রাশিয়ায়।
যুক্তরাষ্ট্রে বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৪৬ হাজার ৯২৪ জন এবং মারা গেছেন ৭১৩ জন। একই দিন রাশিয়ায় কোভিডে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯১২ জন এবং এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ হাজার ৬৩৮ জন।
এই দুই দেশ ব্যতীত বিশ্বের আরও যেসব দেশে করোনায় আক্রান্ত-মৃত্যুর উচ্চহার দেখা গেছে সে দেশগুলো হলো- ফ্রান্স (নতুন আক্রান্ত ২ লাখ ৩২ হাজার ২০০, মৃত্যু ১৮৯), যুক্তরাজ্য (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৮৯ হাজার ৮৪৬, মৃত্যু ২০৩), ইতালি (নতুন আক্রান্ত ১ লাখ ৪৪ হাজার ২৪৩, মৃত্যু ১৫৫), আর্জেন্টিনা (নতুন আক্রান্ত ৪৭ হাজার ৬৬৩, মৃত্যু ২৩), তুরস্ক (নতুন আক্রান্ত ৪০ হাজার ৭৮৬, মৃত্যু ১৬৩), গ্রিস (নতুন আক্রান্ত ৪০ হাজার ৫৬০, মৃত্যু ৮২) ও জার্মানি (নতুন আক্রান্ত ৩৩ হাজার ৪৬৬, মৃত্যু ২৪৪)।
বৃহস্পতিবারের পর বিশ্বে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ কোটি ৮৩ লাখ ৫৫ হাজার ৯২৭ জনে, মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৪ লাখ ৫২ হাজার ৬১৫। বিশ্বে বর্তমানে সক্রিয় করোনা রোগী আছেন ২ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার ৪৩৪ জন। এই রোগীদের মধ্যে কোভিডের মৃদু উপসর্গ বহন করছেন ২ কোটি ৯১ লাখ ৬০ হাজার ৫৪৫ জন এবং গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আছেন ৮৯ হাজার ৮৪৯ জন।
এছাড়া এই দিন করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯ জন। ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের তথ্য অনুযায়ী, মহামারি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন মোট ২৫ কোটি ৩৬ লাখ ৫২ হাজার ৮৪২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে বিশ্বের প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। করোনায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটিও ঘটেছিল চীনে।
তারপর অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি। পরিস্থিতি সামাল দিতে ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
কিন্তু তাতেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় অবশেষে ওই বছরের ১১ মার্চ করোনাকে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
সময় জার্নাল/আরইউ