আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নতুন বছরে করোনা মহামারী জয়ের আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস। করোনাভাইরাসের বিস্তার শুরু হওয়ার পর থেকেই ডব্লিউএইচও বিশ্ববাসীকে নানা নির্দেশনা দিয়ে আসছে। দরিদ্র দেশগুলোর ভ্যাকসিন অধিকার আদায়ে হয়েছে সোচ্চার।
তবে মহামারীকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে অবশ্যই দেশগুলোকে ‘সঙ্কীর্ণ জাতীয়তাবাদ’ ও ‘টিকা মজুত’ করার প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
বছরের শেষ দিন (শুক্রবার ৩১ ডিসেম্বর) ২০২১ সালের শেষ দিনে লিঙ্কডইনে নতুন বছরের আগমনী বার্তায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
মহামারীকে বিদায় জানানোর জন্য সবার আগে প্রয়োজন বিশ্বজুড়ে টিকা বণ্টনে সমতা- উল্লেখ করে নতুন বছরের শুভেচ্ছাবার্তায় গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘মহামারীর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে থাকা সবচেয় কার্যকর হাতিয়ার হলো করোনা টিকা। কিন্তু সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ ও টিকা মজুত করার প্রবণতার কারণে বিশ্বজুড়ে করোনা টিকা বণ্টনে অসমতা সৃষ্টি হয়েছে এবং এটি দিনকে দিন বাড়ছে।’
নতুন বছরের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান জানান, ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বৈশ্বিক টিকাদান কর্মসূচির আওতায় বিশ্বের সব দেশের ৭০ শতাংশ জনগণকে টিকা দিতে তিনি সরকারের সঙ্গে কাজ করবেন।
অন্যদিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বেড়েই চলেছে করোনার সংক্রমণ। এবার অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশেও হানা দিয়েছে করোনা।
চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে প্রায় দুই বছর আগে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। অর্থাৎ শনাক্ত হওয়ার দুই বছর পর করোনার বিদায় নিয়ে কথা বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান। তিনি যখন করোনার পরাজিত হওয়ার কথা বলছেন তখন বিশ্বজুড়ে প্রায় ২৯ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন প্রায় ৫৫ লাখ মানুষ।
সময় জার্নাল/এলআর