আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাংলাদেশ ভারত সীমান্তে সতর্ক অবস্থায় রয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। সীমান্তের যেসব এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই সেসব এলাকায় পাহাড়া জোরদার করেছে বাহিনীটি।
মূলত রাতের অন্ধকারে এবং প্রচন্ড কুয়াশার কারণে পাচারকারীরা যেন কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই সীমান্তে বিএসএফ জওয়ানরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে রোববার (২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁর গুনারমাথের বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যরা। পাচারকারীরা যেন রাতের অন্ধকার, প্রচন্ড কুয়াশা, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সুযোগ না নিতে পারে, তা নিশ্চিত করতেই সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন জওয়ানরা।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার বিএসএফের ১৫৮ ব্যাটালিয়নের সুরেন্দ্র সিং এএনআইকে জানান, পাচারকারীরা রাতের অন্ধকার, প্রচন্ড কুয়াশা, বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সুযোগ নিয়ে থাকে। আর তাই সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দায়িত্বপালনের সময় জওয়ানদের বিশ্রাম নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তে আমরা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার না করার কৌশল মেনে চলি। তবে জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়লেই আমরা কেবল বৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে থাকি।’
এএনআই বলছে, প্রচন্ড কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসের মধ্যে বিএসএফের গুনারমাথ বিওপি’র জওয়ানরা বাংলাদেশ সীমান্তে টহল দিচ্ছেন। মূলত ওই সীমান্ত এলাকার যেসব অংশে কাঁটাতারের বেড়া নেই সেখানেই অবস্থানে থাকছেন তারা।
সুরেন্দ্র সিংয়ের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য পুলিশ বিএসএফের সঙ্গে সহযোগিতাপূর্ণ আচরণ করছে না। তার ভাষায়, ‘এমনকি স্থানীয় কোনো অপরাধীকে আমরা গ্রেফতার করলেও পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অনেক সময় নেওয়া হয়। তাদের তদন্তকাজও অনেক দুর্বল। আর এই কারণে বহু অপরাধীই ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।’
এমআই