আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির জেরে কাজাখস্তানে চরম বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে ইতোমধ্যে দেশটির সরকারের পতন ঘটেছে। কাজাখস্তানের প্রেসিডেন্ট কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, বুধবার (৫ জানুয়ারি) দেশটির প্রধানমন্ত্রী আসকার মমিনের নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্ট কাসিম-জোমার্ট তোকায়েভ।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে দাঙ্গায় এখন পর্যন্ত দেশটির ১৩ জন নিরাপত্তা বাহিনী নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে দুজনের মাথা কেটে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ৩০০ জনের বেশি কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের ওপর তাণ্ডব চালিয়েছে কাজাখ পুলিশ। বিক্ষোভকারীরা সরকারি ভবনের ওপর হামলা চালাতে চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি ছুঁড়ে। গুলিতে ডজনখানেক বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে।
কাজাখ পুলিশের মুখপাত্র সালতানেট আজিরবেক খবর ২৪ টেলিভিশনে বৃহস্পতিবার বলেছেন, দেশের বৃহত্তম শহর আলমাটিতে 'চরমপন্থী শক্তি' রাতজুড়ে প্রশাসনিক ভবন ও পুলিশের বিভাগে প্রবেশের চেষ্টা চালায়।
তিনি আরো বলেন, ডজন খানেক হামলাকারীকে নির্মূল করা হয়েছে এবং তাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছে, ২০০ এর বেশি জনকে আটক করা হয়েছে।
এমন পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে দেশটির প্রেসিডেন্ট রাশিয়াকে সামরিক বাহিনী মোতায়েন করতে অনুরোধ জানিয়েছে। ইতোমধ্যে রাশিয়া দেশটিতে সামরিক বাহিনী পাঠাচ্ছে বলে বিবিসির খবরে বলা হয়েছে।
দেশটিতে গত শনিবার এলপিজির দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানো হয়। এরপর দিন দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ প্রদেশ মানজিস্তাউয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে এই বিক্ষোভ আলমাটিসহ দেশটির অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন, রয়টার্স।
এমআই