আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে শুরু হয়েছে করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। বুধবার এক দিনে দেশটিতে শনাক্ত ৯০ হাজারের বেশি। আগের দিনের চেয়ে সংক্রমণ বেড়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশ। এদিকে দেশটিতে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৩০ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে ৭৯৭ জন আর দিল্লিতে ৪৬৫ জন। অতি সংক্রামক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ভারতের ২৬টি রাজ্যে ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ওমিক্রনে আক্রান্ত এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যে। এদিন রাজ্যটিতে ২৬ হাজার ৫৩৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। মহারাষ্ট্র রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তারা এখনই লকডাউনের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছে না। হাসপাতালে ভর্তি ও অক্সিজেনের চাহিদার ওপর নির্ভর করবে লকডাউন দেওয়া হবে কি না।
ভারতে সংক্রমণের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। বুধবার রাজ্যটিতে ১৪ হাজারের বেশি মানুষ সংক্রমিত হয়েছেন। হিন্দুস্তান টাইমসের এক খবরে বলা হয়েছে, ভারতে করোনা সংক্রমণের আতঙ্কের ভারতে এক দিনে করোনায় প্রথম পৃষ্ঠার পর তালিকায় শীর্ষে কলকাতা শহর। সবচেয়ে দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে এই শহরে। করোনা পরীক্ষাতেও পজিটিভিটির হার কলকাতায় বেশি, ২৩ শতাংশ। এই হারের ধারে কাছে নেই ভারতের অন্য কোনো বড় শহর।
গতকাল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বলেছেন, এখন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ২ হাজার ৭৫ জন, মৃতু্য হার ১ দশমিক ১৮ শতাংশ। আগামী ১৫ দিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্য রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢুকতে হলে আরটি-পিসিআর টেস্ট অবশ্যই লাগবে। আরেও বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্হিতি নিয়ন্ত্রণে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে, কারফিউ, চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অফিস-আদালতে কর্মীসংখ্যা ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে।
এদিকে গতকাল ইতালির মিলান থেকে অমৃতসর বিমানবন্দরে এসেছিল একটি চার্টার্ড ফ্লাইট। নিয়মমতো কোভিড-১৯ পরীক্ষার পরে দেখা যায়, যাত্রীদের মধ্যে ১২৫ জনের রিপোর্টই পজিটিভ। দ্রুত তাদের আইসোলেশনে পাঠানোর ব্যবস্হা করে পাঞ্জাব সরকার।
এমআই