সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে বৃহস্পিতবার মতিঝিল এলাকায় বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনায় বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ৫১ নেতা-কর্মীকে আসামী করে মামলা করছে পুলিশ। রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিদের তালিকায় নেই সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ডাকসুর সাবেক ভিসি মো. নুরুল হকের (নুরু) নাম। মামলার বাদি পল্টন থানার এসআই মিন্টু কুমার। যাদও মামলার এজাহারে নুরের নেতৃত্বে বিক্ষোভের কথা বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল থেকে মোট ৩৩ জনকে আটক করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে ‘শিশুবক্তা’ হিসেবে পরিচিত রফিকুল ইসলামকে বিকালে ছেড়ে দেওয়া হয়। মামলায় বাকি ৩২ জনকে আটক দেখানো হয়েছে।
এজাহারে বলা হয়েছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নুরুল হকের (নুরু) নেতৃত্বে গ্রেফতার ও পলাতক আসামিসহ অজ্ঞাত অনেকে পল্টন মডেল থানাধীন কস্তুরি হোটেলের গলি থেকে হঠাৎ একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে সোয়া ১২টার দিকে শাপলা চত্বরের পশ্চিম পাশে অবস্থান করেন।
এ সময় অবস্থানকারীরা বেআইনিভাবে জনতাবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সরকারবিরোধী উসকানিমূলক ও অবমাননাকর স্লোগান দিতে থাকেন এবং রাস্তা বন্ধ করে জনগণের ভোগান্তির সৃষ্টি করেন।
একপর্যায়ে তাদের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা না করতে অনুরোধ করলে তারা মারমুখী ভূমিকায় অবতীর্ণ হন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে পুলিশের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করেন।
সময় জার্নাল/ইএইচ