এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
বঙ্গবন্ধুর জন্ম বৃহত্তর ফরিদপুর জেলায় । বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়া। যাই হোক ফরিদপুর নিয়ে বঙ্গবন্ধুর কত না স্মৃতি যা পৃথিবীর অনেকেই জানে।" ফরিদপুরের মাটি বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি " , এখন শুধু আলোচনা ফরিদপুর জেলাকে নিয়ে কে বা কারা পাবেন জেলা আঃলীগের দায়িত্ব ? বিভিন্ন গ্রুপিংয়ের কারণে ১ যুগ ধরে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত ফরিদপুর জেলা আঃলীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা । তবে সাম্প্রতি ফরিদপুর জেলা আঃলীগের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে, হবে নতুন কমিটি। অনেক ভিভিআইপি ও ভিআইপি নেতারা দায়িত্ব পাবার আশায় ঢাকায় যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
সভাপতির আলোচনায় আছে একাধিক নেতারা । তার মধ্যে রয়েছে বাবু বিপুল ঘোষ , ফরিদপুরের কৃতী সন্তান , দানবীর , ক্রীড়া সংগঠক , কর্মী বান্ধব ও জেলা আঃলীগের সিনিয়র সভাপতি শামীম হক , জেলা আঃলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, প্রবীণ আঃ লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল হক ( ভোলা মাস্টার ), আঃ লীগের সহ সভাপতি , হামীম গ্রুপ, চ্যানেল ২৪ ও সমকাল পত্রিকার কর্ণধার এ কে আজাদ , এককালের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা মোঃ ফারুক হোসেন ।
সাধারন সম্পাদকের আলোচনায় রয়েছে আঃ লীগের দুর্দিনের লড়াকু সৈনিক সাবেক জেলা আঃলীগের সদস্য সচিব আইভি মাসুদ । যাদের নাম আলোচনায় উঠেছে তারা প্রতিটি (ব্যক্তিই ) নেতারা রাজপথ থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছে । বর্তমানে এরাই ফরিদপুরের সর্বশেষ আঃলীগের সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা।
উপরোক্ত নেতারা সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এমপির নির্যাতনের শিকার হওয়া । উল্লেখ্য , ২০১৯ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শুদ্ধি অভিযানে খন্দকার মোশাররফ গংদের অবসান ঘটে। অনেকেই এখন দুর্নীতির দায়ে জেল হাজতে আছে, আবার কেউ কেউ আছে পলাতক।
বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সাধারন সম্পাদক ডা অহিদুর রহমান বলেন , ফরিদপুর জেলা আঃলীগ গঠন করতে হবে দক্ষ, পরীক্ষিত ও অতীতে যেসকল নেতারা রাজপথে থেকে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন কিন্তু দল ত্যাগ করেন নাই । নিজ দল ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও কোন সুযোগ সুবিধা পায় নাই এধরণের নেতাদের নিয়ে ভাল একটি ফরিদপুর জেলা আঃলীগের কমিটি গঠন করা বাঞ্ছনীয় বলে আমি মনে করি ।
সময় জার্নাল/এলআর