রাজধানীর ডেমরায় ডগাইর বাজারের দক্ষিণে ব্যাংক কলোনী হিজলতলা এলাকায় এক ব্যক্তির বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ২৮ ডিসেম্বর ডি এম পি ওয়ারী জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী মো. জবিউল্যাহ।
মো. জবিউল্যাহ লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিনীত নিবেদন এই যে, আমি মোঃ জবিউল্যাহ (৫১), জাতীয় পরিচয়পত্র-৬৮৮ ১৭৯ ৯৬২৮, পিতা-মৃত আবু বকর সিদ্দিকী, মাতা-মৃত জেয়াবের নেসা, ১০/১-পশ্চিম রাজারবাগ, পোঃ-বাসাবো, থানা-সবুজবাগ, ঢাকা, বর্তমান ঠিকানা-হোল্ডিং-৮২৫, জবিউল্যাহর বাড়ী, ডগাইর বাজারের দক্ষিণে ব্যাংক কলোনী হিজলতলা, থানা-ডেমরা, ঢাকা।
আমি এই মর্মে লিখিতভাবে জানাইতেছি যে, ২০০৪ সালে অর্থঋণ আদালত-১ হইতে সোনালী ব্যাংক মকিম কাটারায় জনাব ফরিদ আহম্মদ এর বন্ধককৃত সম্পত্তি নিলামের মাধ্যমে খরিদ করে ওয়ালের উপর টিন দিয়ে ১৩টি রুম তৈরী করে ভাড়া দিয়ে আসিতেছি। গত ৩০/০৬/২০২০ইং তারিখে বোরকা পরিহিত এক মহিলা আমার উপরে বর্ণিত ডগাইর এলাকার টিন সেড বাড়িতে ২,১০০/- রুমের ভাড়ার অগ্রিম বাবদ ৫০০/- প্রদান করে ১টি রুম ভাড়া নেয় এবং পর দিন ০১/০৭/২০২০ইং তারিখে রুমে ওঠে। রুমে ওঠার পর স্বামীর নাম, ছবি ও আইডি কার্ডের ফটোকপি চাইলে, দিতে গড়িমশি করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঘর থেকে এলাকার দখলবাজ বিবাদী ১। অলি উল্যা ওরফে দখল অলি (৪৫), পিতা মৃত-জিন্নত আলি, ২। শাহিনুর আক্তার (৪৩), স্বামী-অলি উল্যা, ৩। শিহাব উদ্দিন (১৯), পিতা- অলি উল্যা, ৪। অরফুল বেগম (৬৫), স্বামী মৃত-জিন্নাত আলি, হোল্ডিং নং-৮২৫, জবিউল্যাহর বাড়ী, ডগাইর বাজারের দক্ষিণে ব্যাংক কলোনী হিজলতলা, থানা-ডেমরা, ঢাকা, রুম থেকে বেরিয়ে জানায় রুম ভাড়া নেওয়ার জন্য ভোটার আইডি কার্ড লাগেনা এবং তারা দিবে না এবং বাসা ছেড়ে যাবে না এবং আমাকে বাড়ীর ভীতরে রেখে ছেলে সিহাব উদ্দিন গেইটে তালা লাগিয়ে জিম্মি করে ফেলে, আমি পাশের বাড়ীর দেওয়াল টপকিয়ে পালিয়ে আসি।
এই মর্মে গত ১১/০৭/২০২০ইং তারিখে ডেমরা থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করি যার নাম্বার ৩৭৮, তারিখ-১১/০৭/২০২০ইং। সাধারণ ডায়রি করার পর ১নং বিবাদী আমাকে মোবাইল নং ০১৮৫২০৪৭২১২, ০১৮১৪৬৬৫৩৩৭ থেকে ফোন করে জানায় যে ৫,০০,০০০/- টাকা চাঁদা দিলে এই বাড়ী ছেড়ে চলে যাবে। ১ ও ২নং বিবাদী ইতি মধ্যে আমার বাড়ির পানির পাম্প, রড, কাঠ চুরি করে বিক্রি করে ফেলে এবং অন্যান্য ভাড়াটিয়াদেরকে নির্যাতন করতে থাকে। তাদের নির্যাতনের কারণে ১৬ বছরের পুরানো ভাড়াটিয়া আলমগীর হোসেন পরিবার নিয়ে বাড়ী ছেড়ে চলে যায়।
উক্ত অলি উল্যা স্থানীয় ৬৬ নং ওয়ার্ডের কমিশনার আব্দুল মতিন সাউদ-০১৭১৫৬৫৭৮৫৭ এর ভাগনি আইরিনের দেবর। কমিশনার আব্দুল মতিন সাউদের বাসায় ৪ বার সালিশ হয়েছে, ৪ বারই কমিশনার আব্দুল মতিন সাউদ রায় দিয়েছেন সম্পত্তির মূল মালিক ফরিদের ১৯৮২ সনে ক্রয় সঠিক, বন্ধক, রায়, নিলাম, জবিউল্যার মালিকানা সঠিক আছে। অলি উল্যার তার বড় ভাই সাক্তার কে মরণ মন্ডল সাজিয়ে রেজিষ্ট্রি অফিসে খাড়া করে ১৯৯৭ হইতে ২০০০ সালের মধ্যে ৪ টি খাড়া দলিল করেছে, যেগুলোর চৌহদ্দি জবিউল্যার বাড়ির হইতে ৩ বাড়ির পশ্চিমে রাস্তার সাথে এবং এই দলিলগুলো দিয়ে গত ২৫ বছরে মিউটেশন, ডিসিআর, খাজনা খারিজ কিছুই করতে পারেনি। অলি উল্যার এইসব খাড়া দলিল দিয়ে এখানে কোন জায়গা পাবেনা, ৪টি দলিলে ২৮ শতাংশের খাড়া দলিল করলেও তার দখলে ১ ইঞ্চি জায়গাও দখলে নাই। কমিশনার অলি উল্ল্যাকে আমার বাড়ি থেকে বের করার কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তার পক্ষে থানায় বিভিন্ন পর্যায়ে তদবির করেছেন। তাদের অপকর্মের কারনে আমি ডেমরা থানায় মামলা নং ২৪(৮)২০২০,ধারা-৪৪৮/৩৮৫/৩৭৯/১০৯ দন্ডবিধি দায়ের করিলে পুলিশ অলি উল্যা, শাহিনুর আক্তার ও ছেলে শিহাব উদ্দিন কে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠায়। ১নং বিবাদী অলি উল্যার বিরুদ্ধে আমার বাড়ীর পাশে বশির সাহেবের বাড়ী, মনির সাহেবের বাড়ী, কাদের ভূইয়া, কাইয়ূম ভূইয়ার বাড়ীতে চাঁদাবাজী করতে গেলে ৫-৬ বার জেলে যায়। এর মধ্যে বসির সাহেবের সাধারণ ডায়রি ৬০৫, তারিখ-০৯/০১/১৯৯৮ইং এবং ফৌজদারী মোকদ্দমা ৯৭, তারিখ-২০/০১/১৯৯৮ইং হলে দীর্ঘ দিন অলি উল্যা জেলে থাকে।
জেল থেকে বেরিয়ে ইতালি প্রবাসী মনির সাহেবের ঘরের চালে গাজা গুজে রেখে ডিবি পুলিশ দিয়ে মামলা দিয়ে ইতালি যাওয়া বন্ধ করে দেয়। অসহায় মনির সাহেব মোটা অংকের টাকা দিয়ে সমোজতা করে ইতালি যায়। উক্ত টাকা দিয়ে অলি উল্যা ও তার বোন মায়ানূর, মায়ানূরের ছেলে বাবু, মিজান মিলে ৫ তলা বাড়ী করেছে। উক্ত বাড়ীতে মায়ানূর তার চাঁদাবাজ ছেলেদের নিয়ে থাকে। অলি উল্যা গ্রেফতার হওয়ার ৩০ মিনিট পর মায়ানূর তার ছেলে বাবু, মিজান, আউলিয়ার মেয়ের জামাই ভ্যান চালক আলম, গানজা রিপন ও তার স্ত্রী নার্গিস আক্তার সহ অলি উল্যার ঘরের স্টীলের আলমারী সহ কিছু মালামাল রাস্তায় বের করে দা দিয়ে এলোপাথাড়ী কোপায়। ১৮ দিন পর জেল থেকে বেরিয়ে অলি উল্যা আদালতে আমার বিরুদ্ধে ১ টি ডাকাতির মামলা দিয়ে পিবিআই এর তদন্ত চায় এবং দালালের মাধ্যমে ৫,০০,০০০/- টাকা অথবা ৩ শতাংশ জায়গা তার নামে লিখে দিলে পিবিআইর মামলা তুলে নিবে বলে প্রস্তাব দিতেছে। বিবাদীগণ যে কোন সময় আমার এবং আমার পরিবারের বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করিতে পারে।
অতএব, মহোদয় উপরোক্ত বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আমি একজন অসহায় বৈদেশিক মূদ্রা অর্জনকারী কে সহায়তা করে আমার জান ও মালের সুরক্ষায় আপনার সাণিত কলমের দ্বারা সহযোগিতার জন্য বিনীত আবেদন করিতেছি।