নিজস্ব প্রতিবেদক: নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে হারলেও সরকারের কোনো ক্ষতি হবে না বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই সরকারের গ্রহণযোগ্যতাকে বিলীন হতে দেওয়া যাবে না।
যাই ফলাফল আসুক আওয়ামী লীগ তা মেনে নেবে’।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর নিজ দপ্তরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত রবার্ট আর্ল মিলারের সঙ্গে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনে যে ফল আসবে সেটা যদি আমাদের বিরুদ্ধেও যায়, তা আমরা গ্রহণ করবো। এটা সিটি নির্বাচনে হেরে গেলে কিছু যায় আসে না। জনগণের বিজয় হবে। তবে, নির্বাচনটি যাতে সুষ্ঠু হয় সেটা সরকার চায়।
এই নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেটাই সরকারের চাওয়া। আওয়ামী লীগ প্রার্থী হারলেও জনগণের যাতে বিজয়ী হয়’।
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন কেন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে না। এটা কি আইনের দুর্বলতা নাকি ব্যক্তি হিসেবে নির্বাচন কমিশনারদের দুর্বলতা-আইনের কোনো দুর্বলতা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন কমিশন আইন না হওয়াটা সব সরকারের একটা দুর্বল দিক। আইন হওয়া উচিত ছিল। সেটা হলে এখন এত বিতর্ক হতো না। তবে, আইন না হলেও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন হবে সেটা নিরপেক্ষ হবে। রাষ্ট্রপতি কোনো দলের নয়, রাষ্ট্রের। যারা নির্বাচন কমিশনার হন তারা চাইলেই নিরপেক্ষ থাকতে পারেন। নিরপেক্ষ না থাকা ব্যক্তির দুর্বলতা, আইনের নয়’।
তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার বা কমিশনার যারা হবেন, তারা যদি নির্লোভ ও নির্মোহ হন স্বাধীনচেতা হন। ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন, সাহসী, নিরপেক্ষ, নির্লোভ মানুষের নির্বাচন কমিশনার হওয়া উচিত। সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়া আছে। সেই সাহসিকতা একটা নির্বাচন কমিশনারের দেখানো উচিত’।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আলোচনায় অর্থনীতি, কৃষি এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা ইস্যু এসেছে। অনেকক্ষণ ধরে কথা বলেছি। সম্প্রতি তারা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তারা উত্তর কোরিয়া ও মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশকে একইভাবে বিবেচনা করা। আমি বলেছি বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, হৃদয় বিদারক। তারা বলেছেন, বর্তমান সরকার মানবাধিতার বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব দিয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘তাদের কথা, এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কারণে হয়তো বাংলাদেশে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বাংলাদেশকে কোনো শাস্তি দেওয়ার জন্য এটা আমরা করিনি। এটা তিনি আমাকে বলেছেন। উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা তার কাছ থেকে হয়তো ব্রিফ নেবেন, তিনি তিন বছর এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি লিখিত রিপোর্টও দেবেন, তিনি অবশ্যই বলবেন এটা যাতে রিভিউ করে। আমি তাকে বলেছি, এভিডেন্সসহ তাকে আমাদের একটা রাইটআপও দেবো’।
নানা অপরাধের জন্য ১৯০ জন র্যাব কর্মকর্তার শাস্তি হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘তখন তিনি বললেন আমাদের এ বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ দাও। বাংলাদেশ সফলভাবে জঙ্গি দমন করতে পেরেছে বলে তারা প্রশংসা করেছেন। তাদের ধারণা কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘণ হয়েছে। সেটার উন্নতি হওয়া দরকার। তারা আশা করে এটা হবে। আমি তাদের বলেছি, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় তোমাদের সরকারের ভুল ছিল। কিন্তু তোমাদের সিভিল সোসাইটি আমাদের সাহায্য করেছে, ফান্ড দিয়েছে’।
এমআই