নিজস্ব প্রতিবেদক। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে সবশেষ ১১৬ কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফলে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এগিয়ে রয়েছেন। রোববার সন্ধ্যায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তার আগে আজ রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ১৯২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলে।
সবশেষ ৯৪ কেন্দ্রের ফলাফলে জানা যায়, ১১৬ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীকে আইভী পেয়েছেন ৯৬ হাজার ৪৫৭ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতী প্রতীকে পেয়েছেন ৫৫ হাজার ৫০ ভোট।
নাসিক নির্বাচনের প্রধান আকর্ষণ ছিল মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাঁরা হলেন—বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা ও আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার (হাতি), খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন (বটগাছ), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।
আজ সকাল ১১টায় শহরের দেওভোগে শিশুবাগ বিদ্যালয়ে ভোট দেন ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। ভোটদান শেষে সাংবাদিকদের আইভী বলেন, ‘কয়েকটি কেন্দ্রে ধীরগতিতে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। কিছু কিছু কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে সমস্যা হচ্ছে শুনেছি। তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমার বিজয় নিশ্চিত।’
এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করার আহ্বান জানান ডা. আইভী। এর আগে রোববার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে ভোট দেন স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী বিএনপির সাবেক নেতা তৈমূর আলম খন্দকার।
সময় জার্নাল/আরইউ