স্পোর্টস ডেস্ক: দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজ হারার একদিনের মধ্যে অধিনায়কত্ব ছাড়েন ভারতের বিরাট কোহলি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইট করেই অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ান কোহলি। তবে তার সরে যাওয়ার পেছনে অন্য কিছু পেয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সুনীল গাভাস্কার ও ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জেরেকার। দু’জনের একই সুর, বরখাস্ত হওয়ার ভয়ে আগেভাগেই টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরে গেছেন কোহলি।
ভারতের সংবাদমাধ্যমকে গাভাস্কার বলেন, ‘আমি অন্তত অবাক নই। অধিনায়ক হিসেবে আমি নিজে উপলব্ধি করেছি, বিদেশে সিরিজ হারলে খুব ভালোভাবে নেয় না বোর্ড। বিদেশে সিরিজ হারকে ক্রিকেটপ্রেমীরা এবং বিসিসিআই কর্তারাও ভালোভাবে দেখেন না। অধিনায়কত্ব থেকে ছেঁটে ফেলার আশঙ্কা থাকেই। এটা আগেও হয়েছে এবং আমি নিশ্চিত এবারো তেমন কিছু হতে পারতো। কারন এই সিরিজে ভারতের সহজেই জয়ের সুযোগ ছিলো।’
তিরি আরো বলেন, ‘যেহেতু ওয়ানডে অধিনায়ক থেকে বোর্ড নিজেই তাকে সরিয়ে দিয়েছে, তাতে বিদেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সিরিজ হারের পর এমন কিছু ঘটতেই পারতো। ব্যক্তিগতভাবে আপনি যতই সফল হন, দলগত খেলায় ব্যর্থ হলে অধিনায়কের ঘাড়ে দায় বর্তায়।’
ক্রিকেটের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফোতে মাঞ্জেরেকার বলেন, ‘খুবই অল্প সময়ের মধ্যে একের পর এক সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে। সাদা বলের পাশাপাশি আইপিএলের অধিনায়কত্বও ছেড়ে দিয়েছে সে। এখানে মজার ব্যাপার তিন সংস্করণের অধিনায়কত্ব থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এত কম সময়ের মধ্যে এসেছে। তাই আমার মনে হয়, সে অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে বরখাস্ত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে চেয়েছে। যখনই তার মনে হয়েছে- অধিনায়কত্ব চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে সে সরে গেছে।’
২০১৪ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির কাছে থেকে ভারতের টেস্ট দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন কোহলি। আর ২০১৭ সালে সব ফরম্যাটের অধিনায়ক হন কোহলি। তার নেতৃত্বে ৬৮টি টেস্টে ৪০টি জয়, ১৭টি হার ও ১১টি ড্র করে ভারত। ভারতের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ডটা কোহলির অধীনেই হলো।
এছাড়া কোহলির অধীনে ৯৫ ওয়ানডেতে ৬৫ জয় ও ৫০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৩০ জয় পায় ভারত।
সময় জার্নাল/এলআর