বুধবার, জানুয়ারী ১৯, ২০২২
সময় জার্নাল প্রতিবেদক :
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতা ও সহায়তায় সুস্থ হয়ে উঠছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের অধিবাসী ১২ বছর বয়সী শ্রাবণ স্ন্যাল। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এই তথ্য জানান।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মোঃ হাবিবুর রহমান দুলাল, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ সালাহউদ্দিন শাহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু ভিআইপি ব্যক্তিবর্গ নয়, দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ গরীব মানুষেরও খোঁজখবর রাখেন। ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটের অধিবাসী ১২ বছরের বয়সী শিশু শ্রাবণ স্ন্যালকে যে হজকিনলিম্ফোমা রোগে আক্রান্ত তাকে প্রধানমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগে ও নিজ খরচে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা এর উজ্জ্বল ও মহৎ উদাহরণ। শ্রাবণ স্ন্যালকে ভর্তি করানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে রোগীর ছবি পাঠান ও মোবাইলে কথা বলে তাঁর চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করার কথা জানান। এরপর গত ২৪ অক্টোবর ২০২১ইং তারিখে এক বছরের জ্বর ও গলার ডানপাশে লসিকাগ্রন্থি ফোলা নিয়ে ভোগা শ্রাবণ স্ন্যালকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্বদ্যিালয়ে হেমাটোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. মোঃ সালাহউদ্দিন শাহ এর অধীনে ভর্তি করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে তার হজকিনলিম্ফোমা রোগ নির্ণয় করা হয়। গত ৭ নভেম্বর ২০২১ তারিখে প্রথম কেমোথেরাপি শুরু হয় এবং বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলমান আছে। রোগ নির্ণয়ের সময় তাঁর টিউমারের আকার ছিল ৮.৫×৫ সেন্টিমিটার এবং বর্তমানে এর আকার ২×১ সেন্টিমিটার।
উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএসএমএমইউয়ে দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী ১৫ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছেন। সেখান থেকে চিকিৎসার জন্য দরিদ্র রোগীদের জন প্রতি ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ফান্ড থেকেও দরিদ্র রোগীদের সহায়তা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, সমাজের বিত্তবানরা ও ব্যাংকগুলোর সোস্যাল রেসপনসিবিলিটির অংশ হিসেবে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও রোগী কল্যাণ ফান্ডে আর্থিক সহায়তা প্রদানে এগিয়ে আসলে আরো বেশি সংখ্যক দরিদ্র রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান নিশ্চিত করা যাবে।
উল্লেখ্য, শ্রাবণ স্ন্যাল এখন শহীদ আব্দুল জব্বার স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। তাঁর বাবা খোকন আরেং কৃষি কাজ করেন এবং তাঁর মা নীলিমা স্ন্যাল একজন গৃহিনী।
সময় জার্নাল/ইএইচ