সময় জার্নাল প্রতিবেদক : ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘ভারতের হাজার হাজার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ওড়াকান্দি এসে যেমন অনুভব করে আমিও ঠিক তেমন অনুভব করছি। এই পবিত্র দিনের অপেক্ষা আমার বহু দিনের। ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি যখন বাংলাদেশে আসি তখনই আমি এখনে আসার ইচ্ছে পোষণ করেছিলাম। আমার সেই প্রত্যাশা ও কামনা আজ পূর্ণ হলো। আমি নিয়মিতভাবে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অনুগামীদের থেকে ভালোবাসা ও স্নেহ পেয়েছি।’
শনিবার (২৭ মার্চ) ১ টা ২০ মিনিটে টুঙ্গিপাড়ায় মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ওড়াকান্দি ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠের অস্থায়ী হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। এ সময় তাকে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ডঙ্কা-কাঁসা বাজিয়ে বরণ করে নেন ঠাকুর বাড়ির মতুয়ারা। সেখানে তিনি পুজা-অর্চনা করবেন। পরে তিনি ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও ৩ শতাধিক মতুয়া নেতার সঙ্গে মতবিনিময় করেবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে নরেন্দ্র মোদি টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছালে সেখানে তাকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং সমাধি পরিদর্শনের পাশাপাশি সেখানে একটি বকুল ফলের গাছ রোপণ করেন মোদি।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকালে দুই দিনের সফরে ঢাকা আসেন তিনি। সফরের দ্বিতীয় দিন সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর যান। সেখানে তিনি যশোরেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করেন এবং পূজা দেন। এরপর সাতক্ষীরা থেকে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন নরেন্দ্র মোদী।
সফরের দ্বিতীয় দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।
সময় জার্নাল/আরইউ