মুকবুল হোসেন, মুন্সিগঞ্জ (গজারিয়া) জেলা প্রতিনিধি:
গজারিয়া উপজেলা হোসেন্দী ইউনিয়ন আশরাফদী মৌজায় মেঘনা নদীর তীরে অবস্থিত হোসেন্দী গ্রামের প্রায় ২০ থেকে ২৫০ টি পরিবারের বসতভিটা ক্রমশ নদীর ভাঙ্গনের ফলে বাড়িঘরসহ গ্রামটি বিলীনের পথে। শনিবার ২২ জনুয়ারি হোসেন্দী গ্রাম ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে দেখা যায়, নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত গ্রামবাসীর চাষ জমি তিন থেকে চার বছরের ক্রমশ নদী ভাঙ্গনের ফলে নদীতে বিলীন হয়েছে।
হোসেন্দী গ্রামের জামাল মিয়ার বাড়ী হতে জেলার শহীদুল্লাহর বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ টি পরিবারের বসতভিটা ক্রমশ নদী ভাঙ্গনের ফলে অধিকাংশ অসহায় পরিবার বাসস্থান ও গৃহহীন হারিয়ে নিঃস্ব হতে চলছে। ভাঙ্গন কবলিত হোসেন্দী গ্রামের আমিনুল হক, আব্দুল করিম, জামাল উদ্দিন, রিনা বেগম ,শাহ আলম ও খালেদ সহ অনেকেই জানান আমাদের এই বাড়ির পাশে খোলা ছিল ।তারপরে ছিল নদী ওই নদীতে একসময় আমরা গোসল করতাম। কোম্পানি বালুভরাট করার পর নদীর স্রোত ক্রমান্বয়ে আমাদের বাড়ির সামনে এগিয়ে আসছে।দিন দিন বিলীন হয়েছে নাল জমি।
বসতভিটা এখন ক্রমশ ভেঙ্গে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ।হোসেনদী গ্রামের প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ টি পরিবার বিলীনের পথে । গ্রাম বাসীর দাবি সরকারি সহযোগিতায় নদী খননের মাধ্যমে ভাঙ্গন প্রতিরোধে গাইড ওয়াল নির্মাণ করে রক্ষা করতে পারেন গ্রামবাসী অসহায় মানুষদের । হোসেন্দী ইউনিয়ন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন জানান জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন এলাকার উন্নয়নে ও তাদের সেবা নিশ্চিত করতে ।দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে প্রথম কাজ হবে হোসেন্দী গ্রাম ভাঙ্গন প্রতিরোধে সর্বাত্মক সহযোগিতা এবং নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারি ও ব্যক্তিগত সহযোগিতার সমন্বয় স্থায়ী সমাধান করা।
গজারিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কর্মকর্তা সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা ক্যামেরা ফুটেজে অসম্মতি দিয়ে জানান সরোজমিনে পরিদর্শন করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পরামর্শে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী মোবাইলে জানান উপজেলাধীন ইমামপুর, ইসমানিচর সহ একাধিক নদী ভাঙ্গন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদেরকে অবগত করেছি। হোসেন্দী ইউনিয়নের এলাকা পরিদর্শন করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সময় জার্নাল/এলআর