শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর ডাক পাকিস্তানের অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিলো : এলজিআরডি মন্ত্রী

শনিবার, মার্চ ২৭, ২০২১
বঙ্গবন্ধুর ডাক পাকিস্তানের অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিলো : এলজিআরডি মন্ত্রী

সময় জার্নাল প্রতিবেদক : স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে যে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তা পাকিস্তানের অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিলো।

শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট আয়োজিত মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে 'স্থানীয় সরকারে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা এবং করণীয়' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বলেছিলেন 'এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম'‌। 'তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো', 'ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোলো' । আর তখন পাকিস্তানের মতো বাঙালির হাতে কামান, বন্দুক, গোলা-বারুদ কোনো অস্ত্রই ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আহবান বাঙালির নিকট তাদের সেই অস্ত্রের চেয়েও বেশি শক্তিশালী ছিল। 

তিনি জানান, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন তাদেরকে নিয়ে একসময় হাসি ঠাট্টা, তিরস্কার করা হয়েছে। বীর মুক্তিযুদ্ধারা তাঁদের সার্টিফিকেট লুকিয়ে রাখতো। কোথাও মুক্তিযুদ্ধ করার কথা বলতে পারতো না। অত্যাচার নির্যাতনের কারণে আত্মগোপন করেছিলেন। অথচ মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা নিজেদেরকে গর্ব করে রাজাকার বলে পরিচয় দিতো। 

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, যারা বাংলাদেশকে মনে প্রাণে বিশ্বাস করে, স্বাধীনতার প্রতি যাদের ন্যূনতম বিশ্বাস আছে। তাহলে বঙ্গবন্ধুকে, মুক্তিযুদ্ধকে এবং মুক্তিযোদ্ধাদেরকে স্বীকার করতেই হবে। কারণ এদেশের স্বাধীনতা ৩০ লক্ষ শহীদ এবং দুই লক্ষাধিক মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে। সারা পৃথিবীতে এত বড় রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে আর একটিও স্বাধীনতা অর্জিত হয়নি।

ধর্মীয় বিভক্তি মানবজাতির জন্য কখনোই কল্যাণকর কিছু বয়ে আনে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সবাই আল্লাহর সৃষ্টি। ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কথা কোথাও বলা নেই। কুরআনে এবং হযরত মুহাম্মদ (স.) কখনোই অন্য ধর্মের উপরে আক্রমন করতে বলেন নাই। অন্য ধর্মের এবং মানুষের প্রতি অবশ্যই সম্মান করতে হবে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহকে শুধু শক্তিশালী করলেই হবে না। এসব প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতাও বৃদ্ধি করতে হবে। জনগণের অংশগ্রহন ব্যতিত স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা সম্ভব নয়। আর সবাইকে ভাল রাখতে হলে সবার অংশগ্রহন প্রয়ােজন। এটাই ছিল বঙ্গবন্ধুর দর্শন। এ দর্শন বাস্তবায়িত হলে দেশ উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাবে।

ইউনিয়ন মেম্বার ও চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটলে গ্রামাঞ্চল তথা সারাদেশের উন্নতি ঘটবে জানিয়ে জনপ্রতিনিধিদের নৈতিক আদর্শ গঠনের জন্য কাজ করতে জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটকে (এনআইএলজি) নির্দেশ দেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। 

স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনআইএলজির মহাপরিচালক সালেহ মোহাম্মদ মোজাফফর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রণব কুমার পান্ডে।

সেমিনারে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও এর অধীন অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিগণ অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল