মোঃ এমদাদ উল্যাহ, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে আবুল কাশেম গংয়ের বিরুদ্ধে। উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের ঘাসিগ্রামে রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। আবুল কাশেম একই গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের পুত্র ও সোনালী ব্যাংক মিয়াবাজার শাখার ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। এ ঘটনায় রোববার থানায় একটি অভিযোগ(এসডিআর-২৩৪) দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ভবন মালিক বাচ্চু মিয়া।
থানায় দায়েরকৃত অভিযোগে জানা যায়, গত বছরের জুন মাসে বাচ্চু মিয়া ঘাসিগ্রামে তাঁর ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে চারতলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করে। কিছুদিন পর থেকেই একই গ্রামের প্রভাবশালী আবুল কাশেম, লাল মিয়া, আমিন হোসেন, এছহাক মিয়া ও ছালেহ আহাম্মদ গং বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করে আসছিল। এর প্রতিবাদ করায় আবুল কাশেম গং মারধর ও খুন জখমের হুমকি-ধমকি প্রদান করে।
বিষয়টি গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের জানালে তারা আরও ক্ষীপ্ত হয়ে ভবন নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। রোববার সকালে রাজমিস্ত্রী ও শ্রমিকরা চারতলা ভবনের তৃতীয় তলার কাজ করতে চাইলে আবুল কাশেমের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে নির্মাণ কাজে বাধা দেয় এবং চাঁদা দাবি করে। এতে বাধা দেয়ায় তারা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মারধর শুরু করে।
এ সময় তারা বাচ্চু মিয়ার ছেলে আবু জাফর মোহাম্মদ নেছার উদ্দিনকে চর-থাপ্পড় দিয়ে ভবন থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে আবুল কাশেম গং চাঁদা না দেয়া পর্যন্ত নির্মাণ কাজ করলে বাচ্চু মিয়া ও তার ছেলেদের সুযোগমত হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ ব্যাপারে আবুল কাশেম বলেন, ‘আমার পৈত্রিক কবরস্থান দখল করে বাচ্চু মিয়া ভবন নির্মাণ করছে। এনিয়ে আমার পক্ষে ১৪৫ ধারা জারি রয়েছে। সেজন্য ভবন নির্মাণে বাধা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া চাঁদা দাবি ও কাউকে মারধরের বিষয়টি সত্য নয়’।
সময় জার্নাল/এলআর