এইচ আল বান্না : কে জঙ্গী আর কে শান্তিপ্রিয় মুসল্লি সেইটা আলাদা করতে না পারাটাই সেক্যুলার ব্লকের সবচেয়ে বড় আহাম্মকি। একটি দেশের মানুষ অন্য দেশে হাজারো মানুষের হত্যাকারীকে ওয়েলকাম জানানোয় ব্যথিত হতে পরে। তারা নামাজের পরে বিক্ষোভ করতেই পারে। তাদেরকে পিটিয়ে মেরে, দাঁড়ি টেনে যে একদল সম্ভাব্য জঙ্গী তৈরীর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সেইটা কেউ উপলব্ধি করতে পারতেসে না, দেশ ভর্তি এত বুদ্ধিজীবি।
উপলব্ধি করবে কেমনে? ইসলাম, মুসলিম, আল্লাহ, রাসুল এইসবের প্রতি তো কোন দরদ নাই। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মতামতের তো কোন প্রয়োজন নাই।
আমিও তো ভারতের প্রধাণমন্ত্রী কে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে সম্মান করি। কিন্তু সে লোকটা কে? সেটা বাদ দিয়ে কি আমি তারে শুধু পুতুলের মত সম্মান করবো? সে তো একজন চরম সাম্প্রদায়িক জঙ্গি যার হাতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রক্তের দাগ লেগে আছে।
অথচ দেখুন বিক্ষোভকারীরা তো কেউ মোদীর সম্মানে যে আয়োজন সেখানে যায়নি। এয়ারপোর্টে আসেনি। কোন হাঙ্গামা করতে চায়নি।
মোদী যে আল্লাহর বান্দাদেরকে গুজরাটে হত্যা করেছে, যে আল্লাহর বান্দাদেরকে গরুর গোস্ত রাখার অপরাধে তার দল বিজেপি পিটিয়ে লাশ করেছে সেই আল্লাহর ঘরের আসেপাশে নিজেদের ক্ষোভ জানিয়েছে। তারা তাদের আপত্তি জানানোর স্বাধীনতা পাবে না?
কে আগে হামলা করেছে? কারা মসজিদের ভেতরে ঢুকে স্ট্যাম্প দিয়ে হামলা করেছে?
তাদেরকে মেরে পিটিয়ে তাদের মধ্য থেকে কাউকে জঙ্গি হতে উতসাহ দিবেন কেন? জঙ্গি তো আপনারা বানাচ্ছেন।
যে মাদ্রাসার ছাত্রের গায়ে বেত্রাঘাত হলে সমগ্র সেক্যুলার মিডিয়া হৈ-হুল্লোড় করে ওঠে, বলাতকার হলে প্রতিবাদের আগুন জ্বলে ওঠে সেই একই ছাত্র যখন শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করতে গিয়ে লাশ হয়ে যায় তখন সবাই মুখে ঠুলি পরে থাকে। তখন আর মানবতা নাই।
ভার্সিটি হলে গুলি করার সাহস পাইতেন? মাদ্রাসার ছাত্র তো, এদের দাম হেফাজতের কাছেও নাই, সরকারের কাছেও নাই। বেহুদা খরচ হয়ে যায় মানুষের জীবন। মুসলিম হত্যার বিচার চাওয়াও যাবে না। মানুষ বলা যাবে তো?
লেখক : নির্মাতা ও মিডিয়া কর্মী