প্রবাস ডেস্ক। নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির কয়েকটি ক্যাম্পাসের মধ্যে পার্ক ক্যাম্পাস ও জুবিলি ক্যাম্পাসে আমার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ জন সহকর্মী পিএইচডিরত আছেন। পার্ক ক্যাম্পাস হল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যময় অনেকটা জাহাঙ্গীরনগরের মত এবং জুবিলি ক্যাম্পাসকে আধুনিক স্থাপত্য নকশামন্ডিত অনন্যসাধারণ উদাহরণ হিসেবে দেখা যায়।
কাজী সাবরিনা টুম্পা আপু ও মেহরাব আপুর বিভাগ পার্ক ক্যাম্পাসে এবং মেসবাহ ভাইয়ের ল্যাব ও রাবেয়া আপু বিজনেস স্কুল জুবিলি ক্যাম্পাসে অবস্থিত। এক ক্যাম্পাস থেকে অন্য ক্যাম্পাসে যাওয়ার জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস আছে, যদিও পায়ে হেঁটে 15 মিনিটে যাওয়া যায়।
নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির বর্হিসৌন্দর্য এবং গবেষণার অবারিত সুযোগ সত্যি তাক লাগানো।
ডি. এইচ লরেন্সের বাড়ি থেকে ফিরে নটিংহ্যাম ক্যাম্পাসে সবার সাথে দেখা হবে কিনা সন্দেহ ছিল। এক সপ্তাহ আগে থেকেই উনারা দাওয়াত দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু লন্ডন ফিরতি বাসের সময় ছিল বিকেল 3:45। রায়েবা আপা সুপারভাইজারের সাথে মিটিং বিলম্ব করে আমাদের উনার জুবিলি ক্যাম্পাস দেখান। উনার হাজব্যান্ড কৌশিক ভাই আগে জবি সহকর্মী ছিলেন, এখন ঢাবিতে অধ্যাপনা করছেন।
মেসবাহ ভাই সকল কাজ ফেলে আমাদের জুবিলি ক্যাম্পাস থেকে পার্কে ক্যাম্পাসে নিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখান। উনার স্ত্রী সহকর্মী কাজী সাবরিনা টুম্পা আপু গ্রুপ মিটিং থেকে বিরতি নিয়ে এসে দেখা করেন। নটিংহ্যাম আসার পুরো দিকনির্দেশনা টুম্পা আপু দিয়েছিলেন। মেসবাহ ভাই স্বল্প সময়ের মধ্যে ইয়া বড় এক সাবওয়ে খাওয়ান। বাস স্টেশন পর্যন্ত তিনি আমাদের এগিয়ে দিয়ে যান। কিছুদিন পর গাড়ি কিনবেন, সেই গাড়িতে ইয়র্ক-লিডস-পিক ড্রিস্টিক দেখা্নোর দাওয়াত দিয়ে রেখেছেন। সামনের গ্রীষ্মে আমার সহধর্মিণী ইউকে আসলে বাকিগুলো দেখার কথা দিয়ে এসেছি।
সর্বশেষ মেহরাব চৌধুরী আপু ট্রাম স্টেশনে আসলে ষোলকলা পূর্ণ হয়। উনি আর আমি এক প্যানেলে নির্বাচন করেছিলাম একবার। উনার নামের বিভ্রাটে কিছু ভোট তখম কম পেয়েছিলেন, আমরা অন্য সহকর্মীরা এটা নিয়ে বেশ মজা করতাম। অনেকদিন পর নটিংহ্যাম এসে দেখা হয়ে ভাল লাগল।
সমাজবিজ্ঞানী সহকর্মী মামুনকে নিয়ে লন্ডনে যাচ্ছি। ওকে শেফিল্ড থেকে এক প্রকার জোর করে নিয়ে এসেছি। গতকাল ওর পিএইচডি কনফার্মেশন ভাইভা ছিল এবং একই দিনে কনফার্মেশন ইমেইল পায়। বেচারা মহাখুশিতে বিশ্রাম নিতে চেয়েছিল। কিন্তু পড়েছে মুঘলের হাতে...
ম্যানচেস্টার ও লিভারপুল পর্বের কিছু গল্প ও ছবি বাকি আছে। সময়-সুযোগ করে আপলোড দিয়ে দেবো।
নটিংহ্যাম-লন্ডন হাইওয়ে........
ফেসবুক থেকে সংগৃহীত
লেখক: শাহ মো.আরিফুল আবেদ, সহকারী অধ্যাপক
বাংলা বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
সময় জার্নাল/আরইউ