এহসান রানা, ফরিদপুর প্রতিনিধি:
ফরিদপুরে ১৯৭১ সাল মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গুলিতে আহত রফিকুল স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকা তার নাম লেখাতে পারেনি। অনুসন্ধানে জানা যায়, ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার লস্করদিয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের পিতা মৃত আব্দুল ওহেদ চোকদার ও মাতা কুলসুম বেগম এর সন্তান মোঃ রফিকুল ইসলাম চোকদার (৬৭)।
যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম চোকদার জানান, যুদ্ধকালীন কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন মিয়া গ্রুপের সাথে থেকে সহযোদ্ধা হিসেবে বিভিন্ন সহযোগীতা করেন। যুদ্ধকালীন কমান্ডার আবুল হোসেন গত ০৩ জুন ২০১৪ ইং তারিখে তার সাথে ৮ নং সেক্টরে কাজ করায় রফিকুল চোকদারকে একটি প্রত্যায়ন পত্র দেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় ভাবে অংশ গ্রহন করায় এবং পাক-হানাদার বাহিনীর হাতে গুরুতর আহত হওয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাকে ততকালিন মহাকুমা প্রশাসনের মাধ্যমে রফিকুলকে ৫ শত টাকা অনুদান প্রদান করেন।
রফিকুল মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখাতে আবেদন করলে তার নাম মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই তালিকায় না রাখায়, পুনরায় মুক্তিযোদ্বা যাচাই - বাছাই নির্দেশিকা -২০১৬ এর বিধান মতে চেয়ারম্যান জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল বরাবর আপিল দায়ের করেন রফিকুল।
মুক্তিযোদ্ধারা অনেকেই বলেন যুদ্ধের সময় পাক-হানাদার বাহিনীর গুলিতে আহত রফিকুল চোকদার স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেন এবং মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম দিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাদের নিকট দাবী জানান।
অপরদিকে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম চোকদার পাকবাহিনীর গুলির আঘাতের যন্ত্রণায় আজও ভুগছেন। বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৫ শত টাকা ছাড়া তার কপালে আর কিছুই জোটেনি। যুদ্ধাহত রফিকুলের পরিবারের দাবী মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম লেখা হউক।
সময় জার্নাল/এলআর