অ আ আবীর আকাশ, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার দরবেশপুর-জকসিন সড়কের সমিতির বাজার থেকে নাগেরহাট সড়ক মেরামত ও সংস্কারে নিন্মমানের ইটের খোয়া দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিবার নিন্মমানের খোয়া দেওয়াতে বাধা দিলেও লক্ষ্মীপুর জেলার চার ব্যক্তি ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে কাজ অব্যাহত রাখায় উপজেলাব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সমিতির বাজার থেকে নাগেরহাট পর্যন্ত ৬কিলোমিটার সড়ক এলজিইডির চলতি অর্থবছরে ৪ কোটি ৫৭লক্ষ টাকার টেন্ডার পেয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহ আহমেদ এবং মের্সাস সাইমা এন্টারপ্রাইজ মোটা অংকের টাকার বিনিময় লক্ষীপুরের রাব্বানী, দুলাল, ইমতিয়াজ ও সাহাবুদ্দিন কাজ কিনে নেয়। ২১ ডিসেম্বর-২০২১ কার্যাদেশ পেয়ে অদৃশ্য ব্যক্তির ছাত্রছায়ায় ইট ভাটার নিন্মমানের কংক্রিট ক্রয় করে সড়ক মেরামত ও সংস্কার কাজ শুরু করে।
নিন্মমানের কংক্রিট দিয়ে কাজ করায় দরবেশপুর, আইয়েনগর, লামচর, ফতেহপুর,করপাড়া গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিরা একাধিকবার বাধা দিলেও বীরদর্পে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন। ফতেহপুর গ্রামের লোকজন শনিবার সাংবাদিকদের জানান, শ্রমিক নেতা হেলাল কারো কথাকেই তোয়াক্কা না করে নিন্মমানের ইটের কংক্রিট দিয়ে উপরে লোক দেখানো ভালো মানের কংক্রিট দিয়ে রোলার দিয়ে ফিনিশিং করছে।
এ বিষয়ে শ্রমিক নেতা হেলাল বলেন, গাড়ি ভরে ইটভাটা থেকে যে কংক্রিট আসে শ্রমিকরা তাই দিচ্ছে। গ্রামের লোকজন আমাদের সাথে কথা না বলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজনের সাথে কথা বললেই সমাধান হয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সালেহ আহমেদ এর স্বত্তাধীকারী সালেহ আহমেদ বাবুল এবং লক্ষীপুরের রাব্বানীকে মুঠোফোনে একাধিবার ফোন দিলেও রিসিভ করেনি।
রামগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন রোববার বিকেলে নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের জানান, নিন্মমানের কংক্রিট দিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে উপ-সহকারী প্রকৌশলী গিয়ে সত্যতা পেয়েছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নিন্মমানের কংক্রিট অপসারনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এমআই