খেলা ডেস্ক: রেকর্ড অষ্টম ফরাসি কাপের হাতছানি ছিল পিএসজির সামনে, ছিল ১৫তম শিরোপা জিতে নিজেদের রেকর্ডটাকে আরেকটু বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগও। তবে তার একটাও বাস্তবে রূপ দিতে পারেনি পিএসজি। লিওনেল মেসির শুরুর একাদশে ফেরার দিনে কাটাল গোলহীন ৯০ মিনিট। এরপর টাইব্রেকারে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার লিয়ান্দ্রো পারেদেস আর স্প্যানিশ মিডফিল্ডার জাভি সিমন্সের পেনাল্টি মিসের খেসারত দিয়ে নিসের কাছে ৬-৫ ব্যবধানে হেরেছে কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর শিষ্যরা। তাতে ফরাসি কাপ থেকে বিদায়ঘণ্টাও বেজে গেছে পিএসজির।
দল নিয়ে নিসে কোচ ক্রিস্তোফ গ্যালতিয়ের হাজারটা সমস্যা থাকতে পারে, কিন্তু পিএসজিকে রুখে দেওয়া, কিংবা হারানো যেন কোনো ব্যাপারই নয়। গেল মৌসুমে লিলেকে নিয়ে অবিশ্বাস্যভাবে লিগ জিতিয়েছিলেন, সেই মৌসুমে পিএসজির মাঠে জয়, আর নিজেদের মাঠে দারুণভাবেই ড্র করতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি।
তার পুনরাবৃত্তি আরও একবার ঘটল ফরাসি ফুটবলে। ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দান্তে ও সাবেক বার্সেলোনা ডিফেন্ডার জঁ-ক্লে তোদিবোকে নিয়ে সাজান রক্ষণ, তাতে তিনি মঙ্গলবার রাতে নিজেদের মাঠে দারুণভাবেই রুখে দিয়েছেন পিএসজিকে।
পিএসজি কোচ মরিসিও পচেত্তিনোর দায়টা কম নয়। নেইমার নেই, তার ওপর ফরাসি কাপের শেষ ষোলর ম্যাচে তিনি শুরু থেকে খেলাননি কিলিয়ান এমবাপেকেও। গোলহীন প্রথমার্ধের পরও মাঠে আনেননি, যখন আনলেন, তখন ম্যাচে পেরিয়ে গেছে ষাট মিনিটেরও কিছু বেশি সময়।
করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠে লিওনেল মেসি এদিন খেলছিলেন পিএসজির শুরুর একাদশে, পেয়ে গিয়েছিলেন নেইমারের দশ নম্বর জার্সিটাও। তবে দশ নম্বরসুলভ খেলাটা তিনি দেখাতে পারেননি। তবে যা দেখিয়েছেন, তাও পিএসজির কেউ দেখাতে পারেননি। পিএসজির বিবর্ণ প্রথমার্ধে যে একমাত্র শটটা নিয়েছিলেন তিনিই!
বিরতির পরও মাঝমাঠের দখলকে প্রতিপক্ষ বিপদসীমা পর্যন্ত নিয়ে যেতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হচ্ছিল পিএসজিকে। এই অর্ধেও একটাই শট গিয়েছে নিসে গোলমুখে, লিয়ান্দ্রো পারেদেসের সেই শটটাও ঠেকাতে গোলরক্ষক বুলকার কোনো সমস্যাই হয়নি।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলের দেখা না পাওয়ায় খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে। মেসি-এমবাপের সফল পেনাল্টিতে শুরু করলেও শেষ হাসিটা হাসতে পারেনি দলটি। তৃতীয় পেনাল্টিতে মিস করে বসেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার পারেদেস। যদিও জিয়ানলুইজি ডনারুমা প্রতিপক্ষ নিসের চতুর্থ পেনাল্টি নিতে আসা অ্যান্ডি ডার্লোকে ঠেকিয়ে দেন। ফলে খেলা গড়ায় সাডেন ডেথে। সেখানে পেনাল্টি মিস করে বসেন জাভি। তাতেই ফরাসি কাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হয় পিএসজির।
এমআই