আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের পর দুই মাসের মধ্যে মিয়ানমারে সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন ছিল শনিবার (২৭ মার্চ)। এ দিন ছিল মিয়ানমারের সশস্ত্র বাহিনী দিবস। আর এই দিনেই দেশজুড়ে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর নিরাপত্তা বাহিনীর নির্বিচারে গুলিবর্ষণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪ জনে।
২৭ মার্চ মিয়ানমারের জান্তা সরকার বার্ষিক সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করে। আগের দিনই এক টেলিভিশন বার্তায় হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে জান্তা সরকার বলেছিল শনিবার যদি কেউ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তাহলে তাদের মাথায় ও পেছনে গুলি করা হবে।
তাদের সেই হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা রাজপথে নেমে আসে। তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জান্তা সরকারের সশস্ত্র বাহিনী।
এ ঘটনায় নতুন করে পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনার মুখে পড়েছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। দেশটিতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত ড্যান চুগ বলেছেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী নিজেদেরকে অপমানিত করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের দূত সেনাবাহিনীর এই কর্মকাণ্ডকে ভয়াবহ বলে উল্লেখ করেছেন।
দেশটির ১৫টি অঞ্চলের ৪৪টি শহরে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। তার মধ্যে ইয়াংগুন ও মান্দালায় সবচেয়ে বেশি মারা যায়। এই দুই বড় শহরে যথাক্রমে ২৩ ও ২৯ জনের মৃত্যু হয়।
সময় জার্নাল/আরইউ