বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২, ২০২২
মোঃ আবদুল্লাহ চৌধুরী, নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও সাবেক চেয়ারম্যান আনছার উল্যাহকে (৬৫) ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মারধর করার প্রতিবাদে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে।
তবে ঝাড়ু মিছিল পরবর্তী বিক্ষোভ সমাবেশ পুলিশী বাধায় পন্ড হয়ে যায়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিদ্যমান দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব।
গতকাল বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারে এ ঝাড়ু মিছিল করে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাদের মির্জার ভাগনে সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থকরা। তারা এ ঘটনার জন্য কাদের মির্জার বিচার দাবি করে স্লোগান দেয়।
এর আগে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের চরকাঁকড়া গ্রামের মরহুম দর্জি ওবায়দুল হকের বাড়িতে কুলখানি অনুষ্ঠানে এ বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর করার অভিযোগ উঠে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে।
কুলখানি অনুষ্ঠানে বিএনপির নেতা আনছার উল্যাহকে মারধর করার খবর ছড়িয়ে পড়লে রামপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
কাদের মির্জা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাজ্জাদ রোমন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয়। এ সময় দুই পক্ষের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ দুই পক্ষকে বামনী বাজার থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন আমিসহ ৭জন পুলিশ সদস্যকে আহত করে।
তিনি আরো বলেন, তবে বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ১৬জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০জনকে আসামি করে পুলিশ এ্যসল্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভুক্তভোগীর অভিযোগ গতকাল বুধবার দুপুরের দিকে তিনি বসুরহাট পৌরসভার ৭নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী মরহুম দর্জি ওবায়দুল হকের কুলখানি অনুষ্ঠানে যান। এ সময় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তিনি তাকে ওই অনুষ্ঠানে আসতে দেখে বসা থেকে উঠে অন্য একটি জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় কাদের মির্জা কতক্ষণ ওই স্থানে বসে থাকে। এক পর্যায়ে বসা থেকে উঠে এসে কাদের মির্জা আমাকে ভোট চুরির অভিযোগ তুলে মুখে থাপ্পড় মেরে দেয়। থাপ্পড়ের সাথে সাথে আমার চোখের চশমা চোখ থেকে খুলে মাঠিতে পড়ে যায়। আমার মুখ ছিরে যায়। এরপর আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপর আরো উত্তোজিত হয়ে উড়ে এসে আবার আমাকে আরেক থাপ্পড় দিয়ে গায়ে থেকে আমার চাদর ফেলে দেয়।
এমআই