আদালত ডেস্ক। আপিল বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ থাকছে।
ভার্চ্যুয়ালি আদালতে যুক্ত হয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আজ রবিবার সকালে এ সিদ্ধান্ত জানান।
তিনি বলেন, বিচারপতি নাজমুল আহাসানের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কার্যক্রম আজকের জন্য বন্ধ রাখা হলো।
আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান চার ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ছয়টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল নয়টার দিকে ভার্চ্যুয়ালি এজলাসে যুক্ত হন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের অপর বিচারপতিরা।
আদালতের কার্যক্রম শুরুর আগে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, কর্মরত বিচারপতি নাজমুল আহাসান গত শুক্রবার মারা গেছেন। এর আগে দু’জন কর্মরত বিচারপতি মারা যাওয়ায় আদালতের কার্যক্রম চলেনি। এই ঐতিহ্য ও রীতি মেনে প্রার্থনা রাখছি, যদি আজ কোর্ট বন্ধ রাখতেন। উনি আপিল বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েও শপথ নিতে পারেননি।
আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, এর আগে আরেকজন কর্মরত বিচারপতির মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছিল।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ রীতি চলে আসছে। মনে হয় এ ক্ষেত্রেও এটি হওয়া উচিত। এ রীতি রক্ষা করা উচিত। অ্যাটর্নি জেনারেল যে কথা বলেছেন, তা বিবেচনা করা যেতে পারে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য সমর্থন করে এরপর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন ফকির শ্রদ্ধা জানিয়ে কোর্ট বন্ধ রাখা উচিত বলে মত প্রকাশ করেন।
অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্য সমর্থন করে এরপর বিচারপতি নাজমুল আহাসানের মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ কোর্ট বন্ধ রাখার পক্ষে মত দেন ভার্চ্যুয়ালি আদালতে যুক্ত বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী। তাদের মধ্যে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, এ এফ হাসান আরিফ, আজমালুল হোসেন কিউসি, এস এম শাহজাহান ও মাহবুব উদ্দিন খোকন। পরে প্রধান বিচারপতি ওই সিদ্ধান্ত জানান।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসানসহ হাইকোর্ট বিভাগে কর্মরত চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। শপথ গ্রহণের দিন থেকে নিয়োগ কার্যকর হবে বলে নিয়োগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত চার বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ৯ জানুয়ারি শপথ নেন। তবে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় ওই দিন শপথ নিতে পারেননি।
সময় জার্নাল/আরইউ