আন্তর্জাতিক ডেস্ক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরে পুলিশের গুলিতে এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শহরের রাজপথে ব্যাপক বিক্ষোভ করে সাধারণ মানুষ। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) হাজারো বিক্ষোভকারী এ হত্যার বিচারের দাবিতে মিছিল করেন। দুই বছর আগে এই শহরেই শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে নিহত হয়েছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার। মিনিয়াপোলিসে নিহত আমিরের অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সে সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন ২২ বছর বয়সী আমির। হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই শনিবার শহরের কেন্দ্রস্থলে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ ও মিছিল হয়। সেখানে জড়ো হন হাজারো বিক্ষোভকারী। এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘বিচার নেই, শান্তি নেই’ স্লোগান দেন। ওই ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত গ্রেফতার, শহররের মেয়র ও পুলিশ প্রধানের পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
বুধবার হত্যাকাণ্ডের পরদিন পুলিশের পক্ষ থেকে ওই ঘটনার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, তল্লাশির সময় বিছানায় শুয়ে ছিলেন আমির। পুলিশ তালা খুলে তার বাসায় প্রবেশ করে। এ সময় তিনি পুলিশকে লক্ষ্য করে পিস্তল তাক করেন। তবে গুলি ছোড়েননি। এর পরপরই পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। আমিরকে লক্ষ্য করে তিনটি গুলি চালানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, আমিরের বাড়িতে তল্লাশির জন্য তাদের কাছে ‘নো-নক ওয়ারেন্ট’ ছিল। এর ফলে তল্লাশির আগে আগাম জানানোর প্রয়োজন হয় না। তবে আমিরের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ছিল কি না, থাকলেও সেটা কী ধরনের, সেসব কিছুই জানায়নি পুলিশ।
এদিকে, দুই বছর আগে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছিল মিনিয়াপোলিসবাসী। পরে বর্ণবাদবিরোধী ওই বিক্ষোভ পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ফ্লয়েডকে হত্যার দায়ে শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তা ডেরেক চৌভিনকে সাড়ে ২২ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সময় জার্নাল/আরইউ