ইসাহাক আলী, নাটোর: নাটোরের বড়াইগ্রামে উত্যক্তের জের ধরে জহুরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবকের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত গৃহবধু মুন্নী খাতুন (২৫) কে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার জেলহাজতে পাঠিয়েছে। এর আগে সোমবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার জলশুকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম উপজেলার বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের বিরাজ উদ্দিনের ছেলে। গ্রেপ্তার মুন্নী পাশের উপলশহর গ্রামের আব্দুল গফুরের স্ত্রী।
থানা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মুন্নী ও জহুরুল ইসলাম প্রতিবেশী। সোমবার রাতে মুন্নী জহুরুল ইসলামকে মোবাইল করে উপজেলার জালশুকা গ্রামে তার বাবার বাড়িতে ডেকে নেন। পরে কৌশলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জহুরুলের বিশেষ অঙ্গ কেটে দেন। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় জহুরুল ছুটে গিয়ে জালশুকা বাজারের লোকজনকে জানালে তারা তাকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মুন্নী’র শ্বাশুড়ি গোলাপজান বেগম জানান, জহুরুল দীর্ঘদিন থেকেই তার পুত্রবধুকে কু-প্রস্তাব দেয়াসহ নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় বাধ্য হয়ে তার ছেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাড়ি ছেড়ে শ্বশুর বাড়ি গিয়ে বসবাস করছিলো।
মুন্নী বেগমের মা গুলজান বেওয়া জানান, জহুরুল একজন মাদকাসক্ত। তার কারণেই জামাই-মেয়ে আমার বাড়িতে থাকতে শুরু করে। কয়েকদিন আগে আমার মেয়ে জামাই টাঙ্গাইলে কাজে যায়। সোমবার রাতে সে পুনরায় আমার মেয়ের কাছে আসে। এ সময় তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ধারালো ছুরি দিয়ে মুন্নীকে হত্যা করতে চাইলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে জহুরুলের বিশেষ অঙ্গ কেটে যায় বলে তিনি দাবি করেন।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম বলেন, জহুরুল নানাভাবে উত্যক্ত করে আসছিল বলে মুন্নী দাবি করেছে। তদন্তে সঠিক বিষয় বের হয়ে আসবে। জহুরুলের বাবার দায়ের করা হত্যা চেষ্টা মামলায় মুন্নীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এমআই