বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিবে: আইনমন্ত্রী

রোববার, মার্চ ২৮, ২০২১
শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হলে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিবে: আইনমন্ত্রী

সময় জার্নাল রিপোর্ট : আইন, বিচার ও সংসদ  বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন নষ্ট করার চেষ্টা করছে তারা অবশ্যই বাংলাদেশ ও মাতৃভূমির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা দেখাচ্ছে না। 

তিনি বলেন,  বিগত ১২ বছর যাবৎ বাক- স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখার ব্যাপারে সরকার সচেষ্ট। সরকার কোন ক্ষুদ্র গোষ্ঠীরও বক্তব্য দিতে বাধা দিবে না কিন্ত জনগণের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করা হলে,  আইন অমান্য করে ভাঙচুর ও আক্রমণ চালানো হলে সরকার সে ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নিবে।

রবিবার ঢাকার গ্রিনরোডে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেপজা) আয়োজিত ইপিজেডের শ্রমিকদের জন্য বেপজার হেল্পলাইন সেবা উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ‘নতুন উদীয়মান অর্থনীতির দেশ’। ভৌগোলিক অবস্থান, সহজলভ্য, উৎপাদনশীল ও সহজে প্রশিক্ষণযোগ্য সম্ভাবনাময় শ্রমশক্তি এবং পরিমিত উৎপাদন ব্যয়ে এশিয়া এমনকি বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগের প্রধান আকর্ষনীয় ক্ষেত্র।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে অধিক পরিমাণে বিনিয়োগ অর্জনের জন্য শ্রম ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বর্তমান সরকার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন বিনিয়োগবান্ধব নীতি ও সিদ্ধান্ত তারই প্রতিফলন। বিশেষকরে, শ্রমিক ভাই-বোন যারা বাংলাদেশের বিনিয়োগের মূল চালিকাশক্তি, বর্তমান সরকার তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের সুযোগ সুবিধা প্রদানের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

তিনি বলেন,এটা খুবই প্রশংসনীয় যে বেপজা সবসময় শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষাকে প্রাধান্য দেয়। ইপিজেডগুলোতে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক যেমন শ্রমিক-মালিক-ব্যবস্থাপনা ঐকতানই এর প্রমাণ।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১০ বছরে ইপিজেডে ও ইপিজেডের বাইরের শ্রমিকদের বেতন তিনবার বৃদ্ধি করেছেন।  অধিকন্তু  ইপিজেডের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও কল্যাণের জন্য আন্তর্জাতিক শ্রমমান অনুসারে সরকার একটি পূর্ণাঙ্গ ও পৃথক ‘ বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন, ২০১৯’  প্রণয়ন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভিশন অনুসরণ করে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য  দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইপিজেড স্থাপন করা হয়েছে ।  ইপিজেডের কর্মীদের জন্য বেপজার হেল্পলাইন সেবা চালু একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ ।  

তিনি বলেন, এই পদক্ষেপ ইপিজেডের শ্রমিকদের পক্ষে খুব সহায়ক হবে এবং অভিযোগ মোকাবেলার মাধ্যমে সহজতর কর্ম পরিবেশ বজায় রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, বর্তমান সরকারের গতিশীল নেতৃত্বের সাথে একাত্ম হয়ে বাংলাদেশের গর্ব হিসাবে বেপজা তার বিকাশ অব্যাহত রাখবে এবং সুষ্ঠ ও সুন্দর কর্মক্ষেত্র বজায় রাখবে যা এসডিজির সাথে সঙ্গতি রেখে শিল্পে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বা জিডিপি বাড়িয়ে তুলবে।

এর আগে মন্ত্রী বেপজা হেল্পলাইন ফোন নম্বর  ১৬১২৮ উদ্বোধন করেন এবং এতে ফোন করে প্রাপ্য সুবিধাদি সম্পর্কে জানতে চান।

বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মো. মইনু্ল কবির, বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি দলের অ্যাম্বাসেডর Rensje Teerink, বাংলাদেশে নিযুক্ত আইএলও-এর কান্ট্রি ডাইরেক্টর Tuomo Poutiainenপ্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

সময় জার্নাল/এমআই


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল