বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

জিপিএ- ৫ পেয়েও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হচ্ছে না সোয়া লাখ শিক্ষার্থীর

রোববার, ফেব্রুয়ারী ১৩, ২০২২
জিপিএ- ৫ পেয়েও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হচ্ছে না সোয়া লাখ শিক্ষার্থীর

নিজস্ব প্রতিবেদক:

২০২১ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে গতকাল রোববার। মোট পাসের হার ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। জিপিএ- ৫ পেয়েছেন এক লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ শিক্ষার্থী।

কাঙ্ক্ষিত ফল পেয়ে শিক্ষার্থীরা উল্লাসে মেতেছেন ঠিকই, তবে তাদের মাঝে বিষাদের চিন্তাও আছে। কারণ, কিছুদিন পরই শুরু হবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধ।

জানা গেছে, দেশের ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন আছে ৬০ হাজার। সরকারি মেডিকেল কলেজে এ সংখ্যা তিন হাজারের সামান্য বেশি। কিন্তু এবার জিপিএ- ৫ পেয়েছেন এক লাখ ৮৯ হাজার শিক্ষার্থী। ফলে জিপিএ-৫ পেয়েও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাবেন না প্রায় এক লাখ ২৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

মেডিকেল–বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায়ও পরিবর্তন আনার পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী

এদিকে, করোনা মহামারির মধ্যে বিষয় ও নম্বর কমিয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। তাই শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি চাইছেন, মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষাও যেন এই পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা যে পাঠ্যসূচির (পুনর্বিন্যাস করা সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচি) ভিত্তিতে হয়েছে, সেই পাঠ্যসূচির ওপরই মেডিকেল ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা হওয়া যৌক্তিক ও সঠিক। তার মনে হয় না এর বাইরে কেউ ভর্তি পরীক্ষা নেবেন। কেউ চাইলে তাদের অনুরোধ করা হবে।

দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর

এছাড়াও দ্বিতীয়বার পরীক্ষা পক্ষেও মত রয়েছে দীপু মনির। তিনি বলেছেন, বৈশ্বিক চিন্তা করলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নিতে পারে। তাদের ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত তারাই নেবে। তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ করব।

প্রসঙ্গত, করোনা মহামারির কারণে ২০২০ সালে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়নি। স্বয়ংক্রিয় পাস (অটোপাস) দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। সে বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন। এবার ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১১ লাখ ৪০ হাজার ৬৮০ জন। পরীক্ষায় অংশ নেয় ১১ লাখ ১৫ হাজার ৭০৫ জন। পাস করেছেন ১০ লাখ ৬৬ হাজার ২৪২ জন।

মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৬৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭৯ জন। পাস করেছেন ১ লাখ ১ হাজার ৭৬৮ জন। পাসের হার ৯৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ৮৭২ জন।

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ৪৯ হাজার ৩৯৭ জন। পাস করেছেন ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ জন। পাসের হার ৯২ দশমিক ৮৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৭৫ জন।

ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯৬ দশমিক ৫২ শতাংশ, যশোর বোর্ডে ৯৮ দশমিক ১১ শতাংশ, সিলেট বোর্ডে ৯৪ দশমিক ৮০ শতাংশ, বরিশাল বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ, দিনাজপুর বোর্ডে ৯২ দশমিক ৪৩ শতাংশ, রাজশাহী ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৯৫ দশমিক ৭১ শতাংশ ও চট্টগ্রাম বোর্ডে ৮৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

এবার ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩০ জন বিজ্ঞান, ৬ লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ জন মানবিক এবং ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ জন বাণিজ্য বিভাগের। এছাড়া ১ লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন মাদরাসা ও ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের শিক্ষার্থী।

এমআই 


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল