স্পোর্টস ডেস্ক: ব্যাট হাতে শেষ পর্যন্ত লড়লেন ফ্লেচার। তার সাথে শেষের দিকে ঝড় তুললেন ইয়াসির। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না। খুব কাছে গিয়েও হারতে হলো খুলনা টাইগার্সকে।
বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে সোমবার খুলনাকে ৭ রানে হারিয়ে ফাইনালের পথে এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮৯ রান করে চট্টগ্রাম। জবাবে খুলনা যেতে পারে ৫ উইকেটে ১৮২ রান পর্যন্ত। এই জয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে নাম লেখালো চট্টগ্রাম। বিদায় নিল মুশফিকের খুলনা টাইগার্স।
এরপর যোগ্য জুটি পেয়ে খুলনা। ফ্লেচারের সাথে মুশফিক ছিলেন বেশ ছন্দে। তাতে খুলনার জয়ের আশাও জাগতে থাকে। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ১০৭ রান পর্যন্ত। শেষ পর্যন্ত এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান। ২৯ বলে ৪৩ রান করা মুশফিককে ফেরান তিনি। এক চারের পাশাপাশি মুশফিক হাকান চারটি ছক্কা।
মুশফিকের বিদায়ের পর হাল ধরেন তরুণ ইয়াসির আলী। ধুম-ধাড়াক্কা কয়েকটি ছক্কায় ম্যাচের চিত্র অনেকটাই বদলে দেন তিনি। কিন্তু ১৯তম ওভারে তিনি বিদায় নিলে ভাটা পড়ে খুলনার আশা। শেষ ছয় বলে দরকার ছিল ১৬ রান। সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি পেরেরা ও ফ্লেচার। ২৪ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ইয়াসির। তার ইনিংস সাজানো দুটি চার ও চারটি ছক্কায়।
দল জয় না পেলেও দারুণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ফ্লেচার। ৫৮ বলে তিনি খেলেন ৮০ রানের ঝকঝকে ইনিংস। ছয়টি চারের পাশাপাশি তিনি হাঁকান চারটি ছক্কা। ৪ বলে ৩ রানে অপর অপরাজিত ব্যাটার থিসারা পেরেরা।
বল হাতে চট্টগ্রামের হয়ে মিরাজ দুটি, নাসুম, শরিফুল ও মৃত্যুঞ্জয় একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। উইল জ্যাকস অসুস্থ থাকায় ওপেন করেন কেনার লুইস ও জাকির হোসেন। প্রথম ওভারে কেনার লুইস তোলেন ১২ রান। শেষ বলে গোল্ডেন ডাক মানের জাকির। খালেদের বলে ক্যাচ দেন ফ্লেচারের হাতে। দলীয় ১৬ রানে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৩ বলে ৩ রান করে রুয়েল মিয়ার বলে উইকেটের পেছনে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি।
বল হাতে খুলনার হয়ে সবাই মার খেয়েছেন বলতে গেলে। খালেদ দুটি, নাবিল, রুয়েল ও মেহেদী নেন একটি করে উইকেট।
সময় জার্নাল/এলআর