নিজস্ব প্রতিবেদক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের কারণ খতিয়ে দেখতে হাইকোর্টকে চিঠি দিয়েছেন ১০ আইনজীবী।
দুদকের মামলা বিচারের এখতিয়ার সম্পন্ন বেঞ্চ ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে আজ রোববার সকালে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানান।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘মো. শরীফ উদ্দিনের অপসারণের কারণ খতিয়ে দেখতে আমরা ১০ জন আইনজীবী হাইকোর্টকে চিঠি দিয়েছি। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চকে এ চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকেও চিঠি দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের রুলস অনুযায়ী এ চিঠি দিয়েছি। আদালত চাইলে এ চিঠি আবেদন হিসেবে গ্রহণ করে যেকোনো আদেশ দিতে পারবেন।’
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শরীফ উদ্দিনকে দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর সই করা এক প্রজ্ঞাপনে অপসারণ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮ - এর বিধি ৫৪ (২) তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
চট্টগ্রাম কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালে বেশকিছু বড় দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. শরীফ উদ্দিন। এরপরই একাধিক মহলের রোষানলে পড়েন বলে অভিযোগ ওঠে।
সর্বশেষ গত ৩০ জানুয়ারি পরিবারসহ হত্যার হুমকি পান শরীফ। পরিবারসহ হত্যার হুমকি পাওয়ায় কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে সিসি টিভির ফুটেজসহ চট্টগ্রামের খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন। তাঁকে অপসারণের পর থেকে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
সময় জার্নাল/আরইউ