রাবি প্রতিনিধি: করপোরেট লোনে সুদের হার কমানোসহ কয়েক দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা।
সোমবার (২৯ মার্চ) সকাল আটটায় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে দুপুর একটা পর্যন্ত কর্মসূচি পালন করেন।
তাদের অন্যান্য দাবিগুলোর হলো কর্মচারীদের করপোরেট লোনে সুদের হার ৯ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করতে হবে, ঋণের শর্তগুলো সহজ করা, প্রশাসনের হিসাব বিভাগের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আনসারিকে অন্যত্র বদলি করা।
এছাড়া, সকাল সাড়ে দশটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের সভাপতিত্বে ভর্তি পরীক্ষা উপকমিটির সভা শুরু হয়। এসময় আন্দোলনরত কর্মচারীরা প্রশাসন ভবন ত্যাগ করে সিনেট ভবনের দিকে আসতে থাকে। কর্মচারীরা প্যারিস রোডে আসলে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান তাদের দাবি বিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দেন। কিন্তু কর্মচারীরা তাদের কর্মসূচি স্থগিত করেননি। একপর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে সিনেট ভবনে ঢুকে যাওয়ার চেষ্টা করলে ভেতর থেকে ভবনের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এসময় তারা সিনেট ভবনেও তালা ঝুলিয়ে দেয়।
দুপুর একটার দিকে উপাচার্য এম আব্দুস সোবহানসহ অন্যরা সভা শেষে সিনেট ভবন থেকে বেরিয়ে যান। প্রায় একই সময়ে কর্মচারীরা প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে তাদের কর্মসূচি দিনের মতো স্থগিত করেন। সেখানে তারা বুধবার থেকে লাগাতার আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
সহায়ক কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাব্বির হোসেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকতা-কর্মচারীদের করপোরেট লোন দেওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে এই লোনের সুদের হার ৯ শতাংশ। তারা সুদের হার কমিয়ে ৫ শতাংশ করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে। উপাচার্য তাদেরকে মৌখিক আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা কার্যকর করার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি।
সাব্বির হোসেন বলেন, উপাচার্য সর্বশেষ সাত দিনের মধ্যে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু আমরা সাত দিনের মধ্যে কোনো প্রতিফলন দেখিনি। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলনে নেমেছি।
আন্দোলনের বিষয়ে সাধারণ কর্মচারী ট্রেড ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ বলেন, ‘আমরা প্রায় ছয় মাস ধরে উপাচার্যকে আমাদের দাবির বিষয়ে বলে আসছি। কিন্তু তিনি কিছুই করেননি, তাই আমরা এই কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।’
প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘তাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু করার নেই। এটা মূলত ব্যাংকের ব্যাপার। কর্মচারীরা আবেদন জানালে উপাচার্য বড়জোর সুপারিশ করতে পারেন।’
সময় জার্নাল/এমআই