মোঃ ওমর ফারুক অনিক,, মালদ্বীপ থেকে :
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮ ঘটিকায় মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাবগম্ভীর পরিবেশে মহান ভাষা শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারী ২০২২) দূতাবাস ভবনে স্থানীয় সময় রাত ৮ ঘটিকায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে মান্যবর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ এর পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।
এরপর, ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে অস্থায়ীভাবে নির্মিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক স্থাপন করে ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এসময়ে অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্তবক স্থাপন করে আরও শ্রদ্ধা জানান প্রবাসী শিক্ষক মীর সাইফুল ইসলাম, মালদ্বীপ ন্যাশনাল ব্যাংক এর ডিরেক্টর মোহাম্মদ হান্নান খান কবির, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ দুলাল মাতবর, মালদ্বীপ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ দুলাল হোসেন, মালদ্বীপ ন্যাশনাল ব্যাংকের সিও মোহাম্মদ মাসুদ রানা, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এর অপারেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, মালদ্বীপ ন্যাশনাল ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হায়দার আলী সাবু, কাসেদুল ইসলাম বিশিষ্ট ব্যবসায়ীক হাদিউল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম, আলিম দুরানী,সবুর তালুকদার, নূরে আলম রিন্টুর,মাজিবুর রহমান, এম কেআর কামাল, মোহাম্মদ সাদেক, আনোয়ার হোসেন রাজু, জাকির হোসেন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ সহ আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
উক্ত অনুষ্ঠান সূচিতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মওলানা তাইজুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইবাদত উল্লাহর সঞ্চালনায় ভাষা শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন, শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন এবং দূতাবাসের কর্মকর্তাগণ কর্তৃক উক্ত দিবসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন জনাব জসিম উদ্দিন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাণী পাঠ করেন জনাব মোহাম্মদ মামুন আল পাঠান, মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন জনাব ইবাদত উল্লাহ।
এসময়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বক্তব্য প্রদান কালে মান্যবর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ সোহেল পারভেজ বলেন- ২১ ফেব্রুয়ারির রক্তঝরা পথ বেয়েই অর্জিত হয় মাতৃভাষার অধিকার যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে আমরা চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করি যার পুরোধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান।
তিনি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা ও নেতৃত্বে এবং প্রবাসী বাংলাদেশীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের অঙ্গ-সংস্থা ইউনেস্কো ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে ফলে সমগ্র বিশ্বে এখন দিবসটি প্রতিপালিত হচ্ছে। মান্যবর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত প্রবাসী প্রজন্মকে বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশী ভাইবোনদের প্রতি আহবান জানান।
পরিশেষে, ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং প্রার্থনা শেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।