বুধবার, ফেব্রুয়ারী ২৩, ২০২২
মো. মাইদুল ইসলাম: সকাল ৮:৪৫ মিনিট। শীতের আরমোড়া ভেঙে স্নিগ্ধ সকালেই ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীতে মুখরিত। মাইকে জাতীয় সঙ্গীতের সুর বেজে ওঠার আগেই শিক্ষার্থীতে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় বিজ্ঞান ভবন থেকে কলেজের গেট পর্যন্ত। এর বেশিরভাগই নবীন। আজ তাদের ক্যাম্পাস জীবনের প্রথম দিন। তাদেরকে বরণের ডালা আগেই সাজিয়ে রেখেছে স্ব স্ব বিভাগগুলো। তাইতো উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে ক্যাম্পাসে হাজির হয়েছে ২০-২১ সেশনের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সরকারি তিতুমীর কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষ ২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯ টায় স্ব স্ব বিভাগ শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানায়। রসায়ন বিভাগে উপস্থিত হয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানান তিতুমীর কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ মহিউদ্দিন। এরপর পর্যায়ক্রমে অন্য ২১ টি বিভাগে শিক্ষার্থীদের স্বাগতম জানান তিনি।
গনিত বিভাগে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দ্যেশ্য তিনি বলেন, তোমাদেরকে আমি সুস্বাগতম জানাচ্ছি তিতুমীর কলেজে। যারা ধৈর্য ধরে, অনেক সময় নিয়ে কাজ করে তারা অনেক বড় হয় জীবনে। তোমাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা। তোমরা এখান থেকে জীবন গড়ো, বাবা-মা সবসময় সন্তানের মঙ্গল কামনা করে তেমনি আমরাও তোমাদের মঙ্গল কামনা করি। তোমরা এখানে পড়ে ভালো মানুষ হও পরিবারের, সমাজের কাজে লাগো। দেশের কাজে লাগো সেই কামনা।
সবকিছু ছাপিয়ে নবীন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত ছিল ক্যাম্পাসের আড্ডা দেয়ার স্থানগুলো।
নতুন শিক্ষার্থী জুয়েল মাহমুদ হাসান বলেন, করোনার জন্য দীর্ঘ দুই বছর পর আমরা আমাদের অনার্স জীবন শুরু করলাম। আজকের দিনটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে ভয় ছিলো নতুন স্থান কেমন হবে কিন্তু এসে সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র পেলাম। সবাই খুব আন্তরিক। সব মিলিয়ে তিতুমীর কলেজে এসে এখানে পড়তে পেরে খুবই ভালো লাগছে।
গনিত বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার বলেন, আজ এক নতুন পরিচয় পেলাম, নিজেকে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী ভাবতে পেরে খুব ভালোলাগছে। যেদিন থেকে সাত কলেজে পড়বো ভাবলাম সেদিনই মন স্থির করলাম তিতুমীর কলেজে পড়ব। আমাদের গনিত বিভাগের ভাই-আপুরা যে এতটাই আন্তরিক হবে ভাবতেই পারিনি। আজ এই নবীন বরণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নিজের স্বপ্নগুলো আবার নতুন করে দেখতে পারছি।
একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলেন, আজকে শুরু থেকেই আমেজ ছিলো, সব ব্যাচের ভাইয়েরা এসেছে সবাই আমাদের আপন করে নিয়েছে। তবে রুম ছোটা হওয়ায় আমরা সবাই বসতে পারছিনা তাই বসার ব্যবস্থা হলে আরও গোছালো হত, ভালো লাগতো।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হবার পর ৫য় বারের মত ভর্তি পরীক্ষা এবং যাচাই বাছাই শেষে স্নাতক (সম্মান) (২০২০-২১) শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের থেকে তিনটি অনুষদভূক্ত ২২টি বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
এমআই