সময় জার্নাল প্রতিবেদক : ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে মুজিববর্ষ উদ্যাপন কমিটি, বাংলাদেশ ব্যাংক এর উদ্যোগে আজ ২৯ মার্চ ২০২১ ইং সোমবার, বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান ভবনের ৫ম তলায় জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বাংকের গভর্নর জনাব ফজলে কবির। সভাপতিত্ব করেন- নেছার আহাম্মদ ভূঞা, সভাপতি, মুজিববর্ষ উদ্যাপন কমিটি, বাংলাদেশ ব্যাংক,ঢাকা ও সভাপতি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা ফুয়াদ মোর্শেদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির মেজর (অব:) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে, রক্ত দিয়ে যে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে সেই জাতি পিছিয়ে থাকতে পারে না। আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ করেছে, স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আর তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে দ্রুত এগিয়ে চলেছে। যারা বাংলাদেশকে নিয়ে তামাসা করতো, তারা এখন বলে উন্নয়ন দেখতে হলে বাংলাদেশকে অনুসরণ করো। তিনি আরো বলেন, একটি দেশের সুষম উন্নয়ন ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন আশা করা যায় না। সমাজে শ্রেণী বৈষম্য ও ধনবৈষম্য থাকলে দেশে বিভাজন সৃষ্টি হয়। এটা কাম্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়লেই হবে না । এই অর্থ দেশের উন্নয়নে ব্যয় করার পরামর্শ দেন। গ্রামীণ অর্থনীতিকে গতিশীল করতে এবং গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ধারায় আনতে হলে সেখানে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করতে হবে। গ্রামীণ মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আনতে হবে। উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে হলে গণমুখি ও আধুনিক ব্যাংকিং নীতি প্রবর্তন করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চারণ করে তিনি বলেন ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণই ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা ও সঠিক যুদ্ধের দিক নির্দেশনা। তিনি আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ছিল একদিকে স্বজন হারানোর বেদনা অন্য দিকে বিজয় অর্জন ছিল আমাদের গৌরবের।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ বাংকের গভর্নর জনাব ফজলে কবির বলেন মুক্তিযুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু বাঁচার সংগ্রাম চলছেই। এই সংগ্রামে বিজয়ই হতেই হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশ অনেক এগিয়েছে সত্য, তবে অনেক কিছুই এখনো আমরা সমাধান দিতে পারিনি। এই জন্য সকলকে দেশ প্রেমে অনুপ্রাণিত হয়ে একসাথে কাজ করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে নেছার আহাম্মদ ভূঞা বলেন, বঙ্গবন্ধু সারাটা জীবন বাংলার দুঃখি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য কাজ করেছেন। তাঁর মৃত্যুর পর তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা দেশের হাল ধরেছেন। তিনি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছেন বলেই দেশ আজ নিরাপদ। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের চার জন ডেপুটি গভর্নর ও মুজিববর্ষ উদ্যাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ। মুজিববর্ষ উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে প্রকাশিত গ্রন্থের ও বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক ও সংগঠক হামিদুল আলম সখা সম্পাদিত বাঙালির অহংকার বঙ্গবন্ধু গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথি। দেশ ও জাতির কল্যাণ, করোনা থেকে মুক্ত এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকলের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। কোরান তেলোয়াত ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক আফতাব উদ্দিন আহম্মেদ। সংগঠনের পক্ষে সম্মানিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়।
সময় জার্নাল/ইম