শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

নতুন ইসির দায়িত্ব পেলেন যারা

শনিবার, ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২২
নতুন ইসির দায়িত্ব পেলেন যারা

সাবেক সচিব কাজী হাবিবুল আউয়ালকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) করে নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কমিশনের অন্য সদস্যরা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ রাশেদা সুলতানা এমিলি এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান। সার্চ কমিটির বাছাই করা তালিকা থেকে শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাদের নামের তালিকা চূড়ান্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। 

এই নির্বাচন কমিশন গঠন প্রক্রিয়ার শুরুতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেই সংলাপ বয়কট করে রাজপথের প্রধান বিরোধীদল বিএনপি। সার্চ কমিটিতে নাম দেওয়া থেকেও বিরত থাকে দলটি। তবে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সার্চ কমিটির কাছে দশজনের তালিকা জমা দেন। ওই তালিকাকে বিএনপির তালিকা হিসেবে বলে আসিছল আওয়ামী লীগের নেতারা। সেই তালিকা থেকেই প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) বেছে নিলেন রাষ্ট্রপতি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল: কাজী হাবিবুল আউয়াল অবিভক্ত আইন মন্ত্রণালয়, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংসদ সচিবালয়ে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হিসেবে ২০১৭ সালে অবসর নিয়েছিলেন তিনি। বিসিএসের ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা সরকারি চাকরি থেকে বিদায় নেওয়ার পর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন।
নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল চট্টগ্রামের দক্ষিণ সন্দ্বীপে। ১৯৫৫ সালে কুমিল্লা শহরে পিতার কর্মস্থলে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।

খুলনার সেন্ট জোসেফস হাই স্কুল থেকে তিনি ১৯৭২ এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি এবং এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ সালে আইন শাস্ত্রে এলএলবি (সম্মান) এবং ১৯৮০ সালে এলএলএম করেন।

পরে ১৯৮১ সালে তিনি বিচার কর্ম বিভাগে মুন্সেফ (সহকারী জজ) পদে যোগদান করে জেলা ও দায়রা জজসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

মো. আলমগীর: সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ১০ জুন ২০১৯ তারিখে সচিব হিসেবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে যোগদান করেন। পরবর্তী সময়ে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে সিনিয়র সচিব হিসাবে পদোন্নতি পেয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে, তিনি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সচিব হিসেবে ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

মো. আলমগীর ১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার হিসেবে সিলেট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরিজীবন শুরু করেন।
এরপর তিনি বিভিন্ন সময় দেশে ও বিদেশে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক, ঢাকা সিটি করপোরেশন (দক্ষিণ) এর প্রশাসক ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং দেশে-বিদেশে বহু প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

শিক্ষাজীবনে মো. আলমগীর ১৯৮২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স এবং ১৯৮৩ সালে একই বিষয়ে এম.এস.এস ডিগ্রি অর্জন করেন।

মো. আলমগীরের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে।

রাশেদা সুলতানা:  বেগম রাশেদা সুলতানার বাড়ি সিরাজগঞ্জ শহরে। তার বাবাও ছিলেন একজন আইনজীবী। রাশেদা সুলতানা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত ছিলেন। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তাকে আবার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দিল সরকার।

আনিছুর রহমান: আনিছুর রহমান জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে, তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আনিছুর রহমান ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬২ সালে শরীয়তপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসি ও চাঁদপুর সরকারি কলেজ হতে এইচএসসি পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

আনিছুর রহমান বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের ১৯৮৫ ব্যাচের সদস্য হিসেবে ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৮ সালে ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করেন। চাকরিজীবনে তিনি প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে সহকারী কমিশনার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটসহ উপজেলা ও জেলায় বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মন্ত্রি পরিষদ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, অর্থ বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ সালে তিনি ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত সচিব এবং একই মন্ত্রণালয়ে ৪ এপ্রিল ২০১৮ তারিখ থেকে ৪ জানুয়ারি ২০২০ পর্যন্ত সচিব হিসেবে কমর্রত ছিলেন।

৫ জানুয়ারি ২০২০ সালে তিনি জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে সচিব পদে যোগদান করে ২৭ জানুয়ারি ২০২০ সাল থেকে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।


Somoy Journal is new coming online based newspaper in Bangladesh. It's growing as a most reading and popular Bangladeshi and Bengali website in the world.

উপদেষ্টা সম্পাদক: প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ

যোগাযোগ:
এহসান টাওয়ার, লেন-১৬/১৭, পূর্বাচল রোড, উত্তর বাড্ডা, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ
কর্পোরেট অফিস: ২২৯/ক, প্রগতি সরণি, কুড়িল, ঢাকা-১২২৯
ইমেইল: somoyjournal@gmail.com
নিউজরুম ই-মেইল : sjnewsdesk@gmail.com

কপিরাইট স্বত্ব ২০১৯-২০২৪ সময় জার্নাল